Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাঁকুড়ায় ব্যালট বাক্স বহনকারীদের হাতে রঙিন ফিতে বাঁধার নিদান প্রশাসনের

লুট রুখতেই এই ব্যবস্থা।

WB panchayat polls: Bankura authorities tighten security for ballot box transfer
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 16, 2018 8:23 pm
  • Updated:May 16, 2018 8:34 pm

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ব্যালট বাক্স লুট হওয়ার আশঙ্কা। তাই স্ট্রংরুম থেকে গণনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে ব্যালট বাক্স বহনকারীদের হাতে থাকবে ফিতে। সাদা, গোলাপি ও হলুদ রঙের ফিতে বাঁধা হাতেই থাকবে ব্যালট বাক্স। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে গণনা কেন্দ্রের প্রবেশপথের মুখেই বসছে মেটাল ডিটেক্টর। যাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকতে গেলেই তা ধরে পড়ে যায়। ভোটের দিন একাধিক জায়গায় বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে বুথ দখল, ব্যালট বাক্স লুট, ছাপ্পা ভোট হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়ার মোট পাঁচটি বুথে ফের ভোট হল বুধবার। বৃহস্পতিবারই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের গণনা।

[রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় বলি আরও ১, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪]

বাক্স বন্দি ব্যালট কোন পক্ষে জয়ের রায় দেবে, সেদিকেই তাকিয়ে জেলাবাসী। মনোনয়ন ও নির্বাচনের দিনের পরিস্থিতি মাথায় রেখেই নিরাপত্তা বলয় রীতিমতো ঢেলে সাজানো হয়েছে। কোনও ফাঁক রাখতে চাইছেন না জেলার প্রশাসনিক কর্তারা। জেলাশাসক মৌমিতা বসু গোদারা বলেছেন, নিয়ম মেনে গণনাকেন্দ্র থেকে ২০০ মিটার এলাকায় কোনও জমায়েত করা যাবে না। বুধবার থেকে যে সমস্ত এলাকায় ভোটগণনা কেন্দ্র রয়েছে সেই সমস্ত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

Advertisement

counting-bnk

Advertisement

 জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের একটি ঘরে টেবিলের সংখ্যা এক। গঙ্গাজল ঘাঁটি ব্লকের ছ’টি ঘরে টেবিলের সংখ্যা ৪২, ছাতনায় একটি ঘরে টেবিল সংখ্যা ছয়। ইন্দপুর ব্লকে ১৩টি ঘরে টেবিলের সংখ্যা ৬৮, হীড়বাঁধ ব্লকের পাঁচটি ঘরে টেবিলের সংখ্যা ৩৫, খাতড়ায় সাতটি ঘরে টেবিল সংখ্যা ৫৩, রানিবাঁধ ব্লকে চারটি ঘরে টেবিল সংখ্যা ৬০, রায়পুর ব্লকের ১০টি ঘরে টেবিল সংখ্যা ৮০, সারেঙ্গায় ছ’টি ঘরে টেবিল সংখ্যা ৪৫, শিমলাপাল ব্লকে সাতটি ঘরে টেবিল সংখ্যা ৬৭। একইভাবে তালডাংরায় দুটি ঘরে টেবিলের সংখ্যা ২১, বাঁকুড়া-এক ব্লকের ন’টি ঘরে টেবিলের সংখ্যা ৫২, বাঁকুড়া-দুই ব্লকে ছ’টি ঘরে টেবিল সংখ্যা ৬০, বড়জোড়ায় একটি ঘরে দুই, ওন্দায় চারটি ঘরে ছ’টি টেবিল থাকছে। গণনাকেন্দ্রে প্রার্থী ও ভোট কর্মীদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকছে জালের খাঁচা। যেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র প্রার্থী থাকবেন, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে প্রার্থীর সাথে একজন করে এজেন্ট থাকবেন। জেলা পরিষদের ক্ষেত্রেও প্রার্থীর সঙ্গে তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট থাকতে পারবেন।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিক সুকুমার বৈদ্য জানান, গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে সাদা ফিতে, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে গোলাপী ফিতে ও জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে হলুদ ফিতে থাকছে। নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের ব্যালট বাক্স বাহকদের কবজিতে থাকবে এই ফিতে।

[রেললাইনের ধারে মিলল প্রিসাইডিং অফিসারের ক্ষতবিক্ষত দেহ, রায়গঞ্জে চাঞ্চল্য]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ