Advertisement
Advertisement

মহম্মদবাজারে ‘দ্য নেমসেক’! একে অন্যের হয়ে ভোট দিলেন এক গ্রামের দুই মঙ্গলী

নাম বিভ্রাটের জের, মঙ্গল দাসের স্ত্রীর ভোট দিলেন ধরম দাসের গিন্নি।

WB Panchayat Polls: Mahammadbazar re-poll finished peacefully
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 16, 2018 8:35 pm
  • Updated:May 16, 2018 8:35 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়িনাম বিভ্রাট। তাতেই এক মঙ্গলীর ভোট দিলেন অন্য মঙ্গলী। অবশ্য ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে গেলেন দ্বিতীয় মঙ্গলীও। শুধু দুই মঙ্গলীই নয়, এদিন জয়পুর গ্রামের সমস্ত মহিলাই হাসিমুখে ভোট দিয়ে গেলেন। যাঁরা সেদিন খালি পায়ে লাঠি হাতে বুথ দখল রুখতে এগিয়ে এসেছিলেন। শান্তি বজায় রাখতে এদিনের ভোটে নিরাপত্তা বলয় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রশাসনের তরফে ময়ূরাক্ষী নদীর পাড় থেকে জয়পুরের সেতু পর্যন্ত ছিল পুলিশি টহলদারি।

[  বাঁকুড়ায় ব্যালট বাক্স বহনকারীদের হাতে রঙিন ফিতে বাঁধার নিদান প্রশাসনের ]

Advertisement

গত সোমবার ময়ূরাক্ষী নদীর পাড় ধরে এসেছিল কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা দুষ্কৃতীরা। মৌলপুরের সংশ্লিষ্ট বুথের ব্যালট বাক্স লুটের পাশাপাশি ভোট কর্মীদেরও আক্রমণ করে। ফলে মহম্মদবাজারে চারটি বুথের মধ্যে নজরকাড়া ভোট কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল মৌলপুর সিবি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথ দুটি। এদিকে বুথ আক্রমণের খবর পেয়ে দু’কিলোমিটার দূরে জয়পুর থেকে লাঠি হাতে বেরিয়ে আসেন মহিলারা। এদিন অবশ্য তাঁরাই সকাল সকাল জোট বেঁধে বুথে এলেন ভোট দিতে। ভোট দিয়ে খুশি পার্বতী পাওড়িয়া। তিনি জানান, সেদিন ভোট দিয়ে বেরিয়েছি আর হামলা শুরু। কোনওরকমে প্রাণ নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। সেদিন বুথে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারেননি সন্ধ্যা দাস। এদিন যদিও নিজের হাতে নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করলেন।

Advertisement

vor-birbhum

জয়পুর গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের গ্রামের ভিতর ধুলো মাটিতে ভরা রাস্তা দেখিয়ে জানান, এই রাস্তার দাবিতে  ভোট দিলাম। কিন্তু নিজের অধিকার প্রয়োগ করতে এসে প্রথমেই এদিন বাধা পান মঙ্গল দাসের স্ত্রী মঙ্গলী দাস। তাঁদের বাড়ি জয়পুরে। তিনি জানান, সকাল ৬.৩০ মিনিয়ে ভোট শুরুর আগেই আমি ভোটের লাইনে দাঁড়াই। ৭.৩০ মিনিটে আমার পালা আসে। তখন অফিসার জানিয়ে দেন আমার ভোট হয়ে গিয়েছে। আমি বেরিয়ে এসে অন্য অফিসারকে বলি। তিনি কিছুক্ষণ বসতে বলেন। বেশ কিছুক্ষণ পরে অফিসারদের নজরে আসে আমার গ্রামের ধরম দাসের স্ত্রী মঙ্গলী দাস আমার নামে ভোট দিয়ে গিয়েছেন। অফিসারের নির্দেশে আমি ধরম দাসের স্ত্রী মঙ্গলীর হয়ে ভোট দিয়ে দিলাম।’ এছাড়া এদিন মহম্মদবাজারে ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। প্রতিটি বুথে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট রাখা হয়েছিল। ডিএসপি পর্যায়ের পুলিশ কর্মীরা বুধবার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।

ছবি: বাসুদেব ঘোষ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ