সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট শুরু হতে না হতেই ব্যালট বাক্স ছিনতাই। বনগাঁর বাগদায় ব্যালট বাক্স ছিনতাই হল। ভোর রাতে আশারু গ্রাম পঞ্চায়েতের আমডোবা স্কুলের বুথে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ। প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন বহিরাগত দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে আমডোবা স্কুলের বুথে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে চলে ছাপ্পা দেওয়ার কাজ। গ্রামের বাসিন্দারা পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বুথের দিকে ছুটে যান। বাসিন্দাদের একযোগে আসতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। তবে তার আগেই ১০ জনকে ধরে ফেলে চলে বেধড়ক মারধর। বাগদা থানার পুলিশ তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জেরায় আহতদের দাবি, তৃণমূলের এক নেতা তাদের এই কাজে পাঠিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
[ভোট হোক উৎসবের মেজাজে, শান্তি বজায় রাখার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
তাঁর পালটা অভিযোগ, “বনগাঁয় ছাপ্পা ভোটের পিছনে বিজেপির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। ভোট করাতে প্রতিবেশী বাংলাদেশ থেকে লোক ঢোকাচ্ছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা কার্তিক, হরেন, নির্মল ও গণেশ ঘোষের নেতৃত্বে বুথ দখল করতে এসেছিল বহিরাগতরা। গ্রামবাসীরা তাদের তাড়া করে। দু’তিনজনকে ধরে ফেলে মারধর করে। এটা সীমান্ত এলাকা, বিএসএফ সেভাবে সক্রিয় ছিল না। পুলিশের পক্ষে একসঙ্গে ৩০০লোককে আটকানো সম্ভব নয়। গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিহত করছে। বিজেপি বিভিন্ন লোককে নিয়ে এসেছে বাড়ি বাড়িতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এটা তারই ফল।” বিজেপির পালটা দাবি, নেশাভাঙ করে আছেন ওই মন্ত্রী।
[পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে সক্রিয় বেটিং চক্র, চলছে দর কষাকষি]
এদিকে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের জেরে এই বুথে ভোট গ্রহণ সাময়িক বন্ধ রয়েছে। কেননা ব্যালট বাক্স খুঁজেই পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ছবি: প্রতীকী