সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সকাল ৭টা থেকে রাজ্যের ৫৭১টি বুথে শুরু হল পুনর্নির্বাচন। সকাল সাতটা থেকে বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। নানা বিতর্কের মাঝে বেনজিরভাবে একসঙ্গে এতগুলি বুথে এর আগে পুনরায় ভোটের নজির নেই। গত পঞ্চায়েত ভোট পাঁচ দফায় হলেও, মাত্র একশোর কিছু বেশি বুথে পুনর্নির্বাচন হয়। বুথগুলির সুরক্ষার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে সিকিম পুলিশ ও আইআরবি-র জওয়ানদের।
[ভোট পরবর্তী সংঘর্ষের জেরে নিউটাউনে গ্রেপ্তার ২৫ জন বিজেপি কর্মী]
গত সোমবার ভোট হয়েছে ৪৬ হাজার ৭০৬টি বুথে৷ গড় ভোট পড়েছে ৮২ .১৩ শতাংশ৷ গত দু’দিনে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভোটসংক্রান্ত হিংসার বলি হয়েছেন ২৩ জন। তার ওপর এ বার ৩৪ % আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা জিতে যাওয়ায় সেখানে ভোটই হয়নি৷ স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীরা চাপ সৃষ্টি করছিল কমিশনের উপর। সোমবার ভোট চলাকালীনই কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল বিজেপিও। সব মিলিয়ে এক হাজারটিরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের দপ্তরে। তবে, পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অবজার্ভারদের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই। ভোটের পরই বিভিন্ন জেলা থেকে রিপোর্ট পাঠান পর্যবেক্ষকরা, রিপোর্ট পেয়ে স্ক্রুটিনির পর মোট ৫৭১ টি বুথকে বেছে নেওয়া হয় পুনর্নির্বাচনের জন্য।
পুনর্নির্বাচন হচ্ছে: জলপাইগুড়ি ৫, কোচবিহার ৫৫, আলিপুরদুয়ার ২, দক্ষিণ দিনাজপুর ৩৮, উত্তর দিনাজপুর ৭৩, মালদহ ৫৫, মুর্শিদাবাদ ৬৩, বীরভূম ৬, নদিয়া ৬০, হাওড়া ৩৮, হুগলি ১০, উত্তর ২৪ পরগনা ৫৯, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ২৬, পুরুলিয়া ৭, বাঁকুড়া ৫, পশ্চিম মেদিনীপুর ২৮, পূর্ব মেদিনীরপুর ২৩। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, যে বুথগুলিতে পুনরায় ভোটগ্রহণ হবে সেখানে বাড়তি পুলিশ দেওয়া হয়েছে৷ এই নির্বাচনী কেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন একজন এএসআই পদমর্যাদার অফিসার৷ এছাড়া প্রতি বুথেই সশস্ত্র পুলিশ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে৷ ভোট শুরু হয়েছে সকাল সাতটায়৷ চলবে পাঁচটা পর্যন্ত৷ তবে নয়া ঝাড়গ্রাম জেলা ও ভাঙড়ে ভোট হচ্ছে পুনরায় ভোট হচ্ছে না।
[যোগীর রাজ্যে উড়ালপুল ভেঙে দুর্ঘটনা, দ্রুত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]