নিরুফা খাতুন: চলতি মাসে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির কথা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। এবার জানা গেল, এদিকের ঘাটতির কারণ ওদিকের অতিবৃষ্টি। অর্থাৎ বর্ষার খামখেয়ালিপনায় উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টি এবং দক্ষিণবঙ্গে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি। তার পরিমাণেও তারতম্য রয়েছে অনেকটা। পরিসংখ্যান বলছে, জুনে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি হয়েছে ৭২ শতাংশ। আর ৬৪ শতাংশ অতিবৃষ্টিতে কার্যত ভাসছে উত্তরবঙ্গ (North Bengal)। মঙ্গলবারও উত্তরের পার্বত্য জেলাগুলি-সহ পাঁচ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণের জন্য অবশ্য তেমন সুখবর নেই এখনও। তবে জুলাই মাসের বৃষ্টিতে এই ঘাটতি মিটে যাবে বলে আশা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের (Alipore Weather Office)।
আষাঢ়ের ১০ দিন হয়ে গিয়েছে। বর্ষা (Rain)এলেও দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। বুধবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। তার পর থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal)। সর্বত্র মোটের উপর একই পরিমাণ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। শনিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে নিবিড় বৃষ্টির সম্ভাবনা।
কলকাতায় আজ দিনভর আংশিক মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি জারি থাকবে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি। সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬৪ থেকে ৯২ শতাংশ।
এদিকে, উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা – দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি চলবে। পার্বত্য এলাকায় ধস নামার আশঙ্কা থাকছে। মঙ্গলবার সকালেই মরশুমের রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। আর তাতে জলবন্দি শহরের একাধিক ওয়ার্ড। ফি বছরের জল যন্ত্রণা থেকে শহরবাসীকে মুক্তি দিতে এই বছর গদাধর খাল খনন, নিকাশি নালা সংস্কার সহ একাধিক পরিকল্পনার কথা শুনিয়ে ছিলো পুরসভা। এক রাতের ১৬৬.৫০ মিলিমিটার বৃষ্টির ধাক্কায় সব ভেঙে খানখান। জলবন্দি শহরের মহামায়া পাড়া,চুনিলাল রোড,তিন নম্বর ঘুমটি, স্টেশন রোড, কদমতলা, পান্ডাপাড়া-সহ একাধিক এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.