সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। রীতিমতো নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের মোবাইল জমা রাখতে হবে। এমনকী, মুখবন্ধ খামে প্রশ্ন নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ঘরে যাবেন পরীক্ষকরা।
[ দিদির মৃতদেহ আগলে ৩ বোন, রবিনস্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া বাঁকুড়ায়]
চাকরির পরীক্ষাই হোক কিংবা বোর্ডের পরীক্ষা, প্রশাসনিক নিয়ম মেনে যথেষ্ট গোপনীয়তার বজার রেখে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়। কোনও একজন শিক্ষক দিয়ে গোটা প্রশ্নপত্র তৈরি করানো হয় না। বিভিন্ন শিক্ষকের কাছ থেকে প্রশ্ন চায় পর্ষদ। তারপর বাছাই করা প্রশ্ন নিয়ে তৈরি হয় চূড়ান্ত প্রশ্নপত্র। শুধু তাই নয়, কোনও ছাপাখানায় প্রশ্ন ছাপানো হবে, সেটাও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত গোপন রাখা হয়। কিন্তু, এতকিছুর পরও বেশ কয়েকবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মুখ পুড়েছে সরকারের। বেশ কয়েক বছর আগে প্রাথমিক টেটের আগে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রশ্নপত্র। পরিস্থিতি চাপে শেষপর্যন্ত পরীক্ষা বাতিল করতে হয় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে। সেই ঘটনার জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। তারও আগে একবার মাধ্যমিকের অংক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শোরগোল পড়েছিল রাজ্যে। সেবার ফের নতুন করে মাধ্যমিকের অংক পরীক্ষা হয়েছিল।
[মৃত্যুর মুখোমুখি ১৫ হাজার জীবনদায়ী ওষুধ!]
তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে কড়া পদক্ষেপ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পর্ষদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা শুরু দেড় ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মীদের মোবাইল জমা রাখতে হবে। সাধারণভাবে পরীক্ষা শুরু কয়েক ঘণ্টা আগে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রে সিল করা বান্ডিলে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেয় পর্ষদ। প্রধানশিক্ষকের ঘরে সেই বান্ডিলটি খোলার পর, হাতে করে প্রশ্নপত্র নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ঘরে চলে যান পরীক্ষকরা। কিন্তু, আর তেমনটা হবে না। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ, মুখবন্ধ খামে পরীক্ষার্থীদের ঘরে প্রশ্ন নিয়ে যেতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ঠিক ৫ মিনিট আগে খাম খুলে প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে হবে। এমনকী, সকালে ১১.৪০ মিনিটে গোটা রাজ্যে সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে একইসঙ্গে প্রশ্নপত্রের বান্ডিল খোলা হবে। সে খবর আবার সঙ্গে সঙ্গেই পৌঁছে যাবে পর্ষদের সার্ভারে।
[বসন্তের বাতাসে হিল্লোল তুলেছে আবিরের গন্ধ, রঙিন দেশের অলি-গলি]