Advertisement
Advertisement

Breaking News

গভীর সংকট বাংলার কৃষিতে, রাজ্যে দুর্ভিক্ষের শঙ্কা

খাদ্যসংকটের পাশাপাশি ধান, আলু, সবজির দাম হবে আকাশছোঁয়া৷

West Bengal face drought for demonetisation
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 24, 2016 12:36 pm
  • Updated:November 24, 2016 12:36 pm

স্টাফ রিপোর্টার: নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কৃষিতে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে৷ প্রায় ৮০ শতাংশ আমন ধান কাটা হয়নি৷ রোপণ করা যাচ্ছে না রবিশস্য ও আলুর বীজ৷ পচতে শুরু করেছে আলুর বীজ৷ শীতকালীন সবজি চাষও শুরু হতে পারছে না৷ আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নগদ টাকার জোগান স্বাভাবিক না হলে রাজ্যে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷ ব্লকে ব্লকে কালনার মতো কৃষকরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে পারেন৷ এমনই আশঙ্কাপ্রকাশ করলেন রাজ্যের তিন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী৷ কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বা সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় তিনজনই কৃষকদের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন৷ কৃষি বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, চাষের মরশুমে প্রয়োজনের তুলনায় কম রোপণ হলে তিন-চার মাস পরেই মাশুল দিতে হবে৷ খাদ্যসংকটের পাশাপাশি ধান, আলু, সবজির দাম হবে আকাশছোঁয়া৷

রাজ্যে কৃষির সংকটের আগাম মোকাবিলায় অবস্থা বুঝে বুধবার নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ অন্য ব্যাঙ্কের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব ও রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট আটটি দফতরের সচিবরা৷ সেখানেই কৃষি ও কৃষকের সমস্যা মোকাবিলায় ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত নগদ টাকার জোগান রাখার বিষয়েও আশ্বাস চাওয়া হয়েছে৷ সমস্যা মূলত আমন ধান কাটা যাচ্ছে না৷ সময়ে না তুলতে পারলে ধান নষ্ট হবে৷ ধান কাটতে দেরি হলে রবিচাষেও দেরি হবে৷ সুতরাং দ্রুত ধান না কাটলে পরের মরশুমেও দেরি হবে৷ পরের মরশুমের জন্যও সার, বীজ ও আনুষঙ্গিক কাজে টাকার জোগান চাই৷ আলুর ক্ষেত্রে নভেম্বরের শুরু থেকে মাত্র ৪০ শতাংশ রোপণ করা গিয়েছে৷

Advertisement

এদিকে, রাজ্যে কতটা ধান উৎপাদন হয়েছে, তা বুঝতে আগামী শনিবার কৃষি দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক৷ জেলা প্রশাসন মারফত সামগ্রিক চিত্র পেতে চান তিনি৷ তারপরেই কবে থেকে ধান কেনা হবে, তা চূড়ান্ত হবে৷ কিন্তু সেক্ষেত্রেও নগদ টাকার সমস্যা রয়েছে৷

Advertisement

ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ধরা হয়েছে কুইন্টাল পিছু ১৪৭০ টাকা৷ এর সঙ্গে রাজ্যের উৎসাহ ভাতা যুক্ত হবে ২০ টাকা৷ ছ’টি এজেন্সির মাধ্যমে ধান কেনার পরিকল্পনা রয়েছে৷ মোট শিবির হবে ৩৩০টি৷ খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “মুর্শিদাবাদ বা বাইরে থেকে লোক এনে বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় ধান কাটানো হয়৷ এঁদের দৈনিকহারে মজুরি দিতে হয়৷ টাকার সমস্যা থাকায় তা হচ্ছে না৷” একই সমস্যা আলুর ক্ষেত্রেও৷ কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেছেন, “সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা মিলছে না৷ কৃষকরা বীজ, সার কিনতে পারছেন না৷ আলুর বীজ রোপণ করা হয়নি৷ নগদ টাকার জোগান স্বাভাবিক হতে হবে৷ আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রাজ্যে দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ