Advertisement
Advertisement

Breaking News

১৪ বছর বাদে কড়া শীতের লম্বা ইনিংস, কাঁপছে বঙ্গ

আর কতদিন চলবে উত্তুরে হাওয়ার তাণ্ডব?

West Bengal feels the chill
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 11, 2018 11:43 am
  • Updated:January 11, 2018 12:54 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ঠিক যেন বনবাস, ফিরতে লেগে গেল চোদ্দো বছর। বাংলায় এ দফায় শীতের টানা মারকাটারি ইনিংস সম্পর্কে হাওয়া অফিসের তথ্য দেখে এমনটাই মনে আসছে।

চলতি জানুয়ারির ৩ তারিখ থেকে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে পারদ পতনের যে পালা শুরু হয়েছে, সাত দিন ধরে তা বহাল। বুধবারও আলিপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মঙ্গলবারের চেয়ে ০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস নেমে দাঁড়িয়েছে ১০.৯ ডিগ্রি। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি নিচে। কফি হাউস থেকে সেক্টর ফাইভ, সর্বত্র শীতের স্থায়িত্ব নিয়ে চর্চা চলছে। “এমন ঠান্ডা জীবদ্দশায় দেখিনি।”- পাড়ার চায়ের দোকানে বসে অনুভূতি এক তরুণের। আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, মহানগরে শীতের এহেন উত্তুঙ্গ দাপট শেষ দেখা গিয়েছিল ১৪ বছর আগে- ২০০৪ সালে। সেবার ২ থেকে ১০ জানুয়ারি ৮ দিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কার্যত ১২ ডিগ্রির নিচে ঘোরাফেরা করেছিল। শুধু ৮ জানুয়ারি একদিনের জন্য উঠেছিল ১২ ডিগ্রির উপরে। আর তার আগের বছর ২০০৬ সালে টানা ১১ দিন ১২ ডিগ্রির নিচে ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ৬ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি।

Advertisement

 

Advertisement

[ফের শহরে দুই বাসের রেষারেষি, পিষ্ট অফিসযাত্রী মহিলা]

এই দু’বছর হাড়হিম হয়েছিল বঙ্গবাসীর। এবারও হচ্ছে। এবার কতদিন হবে, তা এখনও অজানা। উত্তরবঙ্গ থেকে দ‌ক্ষিণবঙ্গ, সর্বত্র একই অবস্থা। ঠান্ডার কামড়ে কার্যত জবুথবু আট থেকে আশি। উত্তুরে হাওয়ার দাপট সামান্য কমলেও বুধবারও উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শৈত্যপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি ছিল। পরিস্থিতি যা তাতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে শীতের ‘পাওয়ার প্লে’ চলবে! তবে শুক্রবার রান ওঠার গতি সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক  সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া-সহ দ‌ক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় গত ৪৮ ঘণ্টা শৈত্যপ্রবাহ চলছে।  উত্তরের পার্বত্য কালিম্পংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এদিন শ্রীনিকেতনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-এর ঘরে নেমে গিয়েছে৷ কৃষ্ণনগরে পারদও নেমেছে ৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আকাশ পুরোপুরি পরিষ্কার থাকায় দ‌ক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হুহু করে নামছে তাপমাত্রা। আর তাপমাত্রা এতটা নেমেছে যে, তা পাহাড় ও সমতলের মধ্যে বিভেদ ঘুচিয়ে দিয়েছে। রবিবার কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ জলপাইগুড়ি ও মালদহে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮-এর ঘরে ঘোরাফেরা করেছে। পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রা নেমেছে পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়াতেও। মেদিনীপুর সদরে এদিন তাপমাত্রা নেমেছিল ৯.১ ডিগ্রিতে৷ উলুবেড়িয়া ও দিঘাতেও ৯-এর ঘরে ছিল তাপমাত্রা।

[ফের প্রকাশ্যে গুরুং, ঘুরপথে রাজ্যকে আলোচনার বার্তা]

 এ বছর শীতের শুরুটা ভাল হলেও মাঝপথে ছন্দ হারায় শীত। পশ্চিমি ঝঞ্ঝা, বিহারের উপরে থাকা ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপের কারণে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কিন্ত্ত ঘূর্ণাবর্ত কাটতেই কনকনে উত্তুরে হাওয়া আর ঘন কুয়াশা নিয়ে এ রাজ্যে পা রেখেছে শীত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা সেভাবে না কমলেও শীতের আমেজ অনুভূত হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

 

[গড়িয়াহাট উড়ালপুলে ভেঙে পড়ল বিজ্ঞাপনের গেট, আহত ১]

ছবি-অরিজিৎ সাহা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ