স্টাফ রিপোর্টার: প্রশাসনিক দক্ষতা ও প্রকল্প রূপায়ণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ ফের দেশের শীর্ষে। কন্যাশ্রীর বিশ্বজয়ের পর এবার শিশু আলয়, যুবশ্রী বা সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প পেল ভারতসেরার শিরোপা। রাজ্যের ৯টি উদ্ভাবনী ও জনবান্ধব প্রকল্প স্কচ অর্ডার অফ মেরিট সম্মান পেয়েছে। এর মধ্যে আবার ৬টি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
[সব ভাষাতে ‘বাংলা’ই হবে রাজ্যের নাম, কেন্দ্রকে চিঠি নবান্নর]
ব্যবসা টানতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সুবিধাদানের যে নীতি, সেই ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ পেয়েছে স্কচ প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড। একই খেতাব পেয়েছে ইনস্পেকশন রিফর্মস ও ছোট্ট বয়সে শিশুকে যত্ন ও শিক্ষার প্রকল্প ‘শিশু আলয়’। স্কচ গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে যুবশ্রী, সামাজিক সুরক্ষা যোজনা ও ই-ডিস্ট্রিক্ট প্রজেক্ট। যুবক-যুবতীদের কাজের যোগ্যতা ও দক্ষতার মানোন্নয়নে যুবশ্রী প্রকল্প বহু রাজ্যেও সমাদৃত হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তায় সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ফলে শ্রমিকরা দুর্ঘটনা বা নানা ক্ষেত্রে সুবিধা পাচ্ছেন।
[কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে শোনানো হবে না মোদির ভাষণ, অনড় রাজ্য]
সব ধরনের শ্রমিকদের সুবিধা দিতে একই ছাতার তলায় এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কচ সম্মান ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। রাজ্য সরকারের এই স্বীকৃতির কথা তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেন। ফেসবুক ও টুইটার পেজে তিনি লিখেছেন, “ বাংলার সুশাসন দেশে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা আনন্দ সহকারে জনগণের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, বাংলায় ভাল প্রশাসন কীভাবে সাফল্য লাভ করছে। ” উল্লেখ্য, গতবারও বহু ক্ষেত্রে স্কচ সম্মান পেয়েছিল বাংলা। এই সম্মানে ধারাবাহিকতা দেখাল রাজ্য। সারা দেশের ও প্রত্যেকটি রাজ্যের প্রকল্পগুলির মধ্য থেকে বাছাই করে পুরস্কৃত করে এই সংস্থা। এই সম্মানের বেশ গুরুত্ব রয়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যেও। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে শিশু আলয় প্রকল্প সরকার হাতে নেয়। এই কর্মসূচির লক্ষ আরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়াকে স্কুল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। এপর্যন্ত ২,৪০৪টি শিশু আলয় তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। লক্ষাধিক শিশু আলয় তৈরির লক্ষ নেওয়া হয়েছে। গত জুন মাসে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে রাজ্য সরকারের আরও এক জনমুখী প্রকল্প কন্যাশ্রী। সামাজিক প্রকল্প নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে ৬২টি দেশের মধ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জ সেরা হিসাবে বেছে নেয় কন্যাশ্রীকে।