সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: খনি গর্ভে ভেঙে পড়ল কয়লার চাঙড়। মারা গেলেন ইসিএলের দুই জন কর্মী। রবিবার ভোরে দুর্ঘটনা ঘটল পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টা ডিহি দুই নম্বর খনিতে। এই ঘটনার পরই নিরাপত্তার দাবিতে কোলিয়াড়ি চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন শ্রমিকরা। তাঁদের অভিযোগ, খনির ভিতরে শ্রমিকের নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীন কর্তৃপক্ষ। শেষ খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা যায়নি।
[ রাজ্যে ফের ছাত্রমৃত্যু, কোচবিহারে দুষ্কৃতীদের মারে প্রাণ গেল কলেজ পড়ুয়ার]
মাটির নিচে কয়লা ভাণ্ডার। আসানসোল, দুর্গাপুর-সহ পশ্চিম বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকায় খননকার্য চালায় কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ইসিএল। খনিতে নেমে কয়লা তুলে আনেন শ্রমিকরা। কিন্তু, খনিগর্ভে শ্রমিকরা কি আদৌও নিরাপদ? রবিবার ভোররাতে দুর্ঘটনা ঘটল পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টা ডিহি দুই নম্বর খনিতে। কর্মরত অবস্থায় মারা গেলেন ইসিএলের দুই কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে খোট্টা ডিহি দুই নম্বর খনিতে কাজ করছিলেন ইসিএলের বেশ কয়েকজন শ্রমিক। আচমকাই তাঁদের মাথায় ভেঙে পড়ে কয়লা চাঙড়। বাকিরা কোনওমতে উপরে উঠে আসতে পারলেও, ঘটনাস্থলেই মারা যান মাইনিং সর্দার চন্দ্রশেখর গিরি ও ঝাড়াইকর্মী কালেশ্বর মাহাত। দুর্ঘটনার পরই কোলিয়াড়িতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খনিগর্ভে নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভে শামিল হন শ্রমিকরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, খনিগর্ভে নিরাপত্তার কোনও বালাই নেই। কার্যত প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। এর আগেও পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টা ডিহি দুই নম্বর খনিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তাতেও ইসিএল কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। শেষ খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। তবে মৃতদেহ এখনও খনি থেকে উদ্ধার করা যায়নি।
[যাত্রী দুর্ভোগ রুখতে নয়া ভাবনা, পুজোয় রাতভর ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন