Advertisement
Advertisement

থানায় কালীপুজো, পুলিশের মাতৃ আরাধনার কারণটা কী জানেন?

আজও রাতপাহারার আগে দেবীকে পেন্নাম পুলিশকর্মীদের।

West Midnapore police station worshipp Kali to ward off evil
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 18, 2017 11:26 am
  • Updated:October 18, 2017 11:26 am

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: তখন ইংরেজ আমল। সময়টা ১৮৯৫ খ্রীষ্টাব্দ। দাসপুরে সেই সময় চোর-ডাকাতের উপদ্রব ছিল মারাত্মক। গোরা পুলিশকর্তাদের নির্দেশে রাতপাহারা শুরু করেছিল হোমগার্ড বা স্থানীয় গ্রামরক্ষী বাহিনী। কিন্তু শুধু লাঠি নিয়ে তো ডাকাতদের সঙ্গে লড়াই করা যায় না। এবিষয়ে থানার বড়বাবুকে বলেও কোনও সুরাহা করতে পারেননি হোমগার্ডরা। তাছাড়া রাতপাহারার জন্য সাহসও তো চাই! না হলে চোর-ডাকাতের সামনে তালপাতার সেপাই মনে হবে! গ্রাম্য যুবাদের মনে সাহস জোগাতে দাসপুর থানা লাগোয়া জমিতে শুরু হয় মাতৃ আরাধনা।

[শিল্পী এবং চাহিদার অভাবে আঁধারেই বাংলার ভূতের ভবিষ্যৎ]

Advertisement

মাটির মূর্তি গড়ে কালীপুজোর প্রচলন হয়। প্রথমে মাটির মন্দিরে মায়ের আরাধনা হত। এর কয়েক বছর পর স্থায়ী মন্দির বানিয়ে চলে পুজোপাঠ। অতীতের সেই ধারা আজও একইভাবে মানা হয়। রাত পাহারায় যাওয়ার আগে মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে হোমগার্ড থেকে পুলিশকর্মীরা সবাই কপালে পেন্নাম ঠোকেন। এবছর দাসপুর থানার কালীপুজো ১২২ বছরে পড়ল। উদ্যোক্তা গ্রামরক্ষী বাহিনি। এই বাহিনির আড়ালে অবশ্য জড়িয়ে আছে নিচু থেকে উঁচুতলার পুলিশকর্মীরা। গ্রামরক্ষী বাহিনীর নামে পুজো হলেও পুজোর রাশ কিন্তু তাদের হাতে এখন আর নেই। পুজোর উদ্বোধন করবেন ঘাটালের এসডিপিও বিবেক বর্মা। থাকবেন থানার ওসি প্রদীপ রথ-সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারাও। পুজো উপলক্ষে পাঁচ দিন ব্যাপী রাখা হয়েছে ভিন্ন স্বাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এমনকী থাকছে গণভাইফোঁটাও। এত কিছু আয়োজনের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা৷ কিন্তু কোথা থেকে আসবে এই টাকা?

Advertisement

WMID-DASPUR-KALI.jpg-2

[ইসলাম গ্রহণ করেও কেন সাধনা করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ?]

পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজল সামন্ত বলেন, “সবাই মিলে টাকা তোলার  দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা তুলে পুজো হচ্ছে।” থানার ওসি প্রদীপ রথ বলেন, “পুজো সবারই সবাই মিলে পুজো করবেন এতে অসুবিধাটা কোথায়?” ব্রিটিশ জমানা থেকে চলে আসা এই কালীপুজো এখন সর্বজনীন। আলোর উৎসবে শামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।

ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ