Advertisement
Advertisement

ম্যাসাঞ্জোরের অধিকার কার? বিতর্ক মেটাতে রাজ্য প্রশাসনের বৈঠক

তুঙ্গে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তরজা৷

Who is the right to Mashonjor? State administration meeting with Jharkhand
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:August 6, 2018 7:47 pm
  • Updated:August 6, 2018 7:47 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: মাস্যাঞ্জোর সমস্যার সমাধানে ঝাড়খণ্ড প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে করলেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিরকা৷ সোমবার ঝাড়খণ্ডের দুমকায় যান অতিরিক্ত জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের একটি দল৷ সেখানে দুমকার ডিসি-সহ সেচ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন তাঁরা৷ ম্যাসাঞ্জোরের অধিকার কার? এই নিয়েই গত সপ্তাহভর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তরজা শুরু হয়েছে৷ বিশেষ করে রবিবার ঝাড়খণ্ডের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী লুইস মারান্ডি যে ভাবে ম্যাসাঞ্জোর নিয়ে হুমকি দিয়েছেন তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে৷

[অসমে অবরোধ রাজবংশী স্টুডেন্ট ইউনিয়নের, উত্তরবঙ্গে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা]

ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর জলাধারের নীল সাদা রঙকে ঘিরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছেই। সেটাই ক্রমে তৃণমূল বিদ্বেষে পরিণত হয়েছে। তাই শুধু অসম নয়, এবার প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও তৃণমূলের সঙ্গে লড়াইয়ে নামল বিজেপি। দু’দিন আগেই ম্যাসাঞ্জোরে ওয়েলকাম বোর্ডে থাকা বিশ্ব-বাংলার লোগো ঢেকে ঝাড়খণ্ডের লোগো লাগানো হয়৷ এমনকি ‘ওয়েস্টবেঙ্গল’ শব্দের উপর লাগিয়ে দেওয়া হয় ঝাড়খণ্ডের নাম। এই নিয়ে রাজ্যের নির্দেশে বীরভূম জেলাশাসক দুমকার ডিসিকে অভিযোগ করেন। সেচ দপ্তর ম্যাসাঞ্জোর থানায় এফআইআর দায়ের করে।

Advertisement

[পুরুলিয়ায় তৃণমূল বিধায়ককে ঘাড়ধাক্কা, বিজেপির নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের]

Advertisement

কিন্তু রবিবার সকালে রাস্তার দু’প্রান্তে থাকা দু’টি বোর্ডের একটিতে ঝাড়খণ্ডের স্টিকার ও ঝাড়খণ্ডের নাম খুলে দিতে দেখা যায়। অন্যটিতে সম্পূর্ণ ছেঁড়া। এরই প্রতিবাদে রবিবার সকালে বিজেপির রানিশ্বর মণ্ডলের সমর্থকেরা বাইক ব়্যালি করে বিক্ষোভ দেখায়৷ রানিশ্বর মণ্ডলের বিজেপি কার্যকর্তা রঘুনাথ দত্ত বলেন, ‘‘কাপুরুষের মতো রাতের অন্ধকারে বাংলার পুলিশ এসে লোগো ছিঁড়েছে। সাহস থাকলে দিনের বেলা আসুক।’’

[গেরুয়ার বদলে শিবভক্তদের পরনে নীল-সাদা পোশাক, জোর বিতর্ক বর্ধমানে]

বিজেপির দুমকা জেলার সম্পাদক ফণীভূষণ মণ্ডল বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি চিহ্ন রাখতে দেওয়া যাবে না।’’ যদিও বাংলার সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘মগের মুলুক নাকি। বিশ্ব বাংলা লোগো যেখানে ছিল, সেখানেই থাকবে।’’ মাস্যাঞ্জোর সমস্যা সমাধানে সোমবার সকালে বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক রঞ্জন ঝাঁও সেচ দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার কিংশুক মণ্ডল রাজ্যের তরফে ম্যাসাঞ্জোর নিয়ে দুমকায় ডিসি’র দপ্তরে বৈঠক করতে যান৷ জেলা প্রশাসনের আশা ১৯৫৫ সালে তৈরি ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ চুক্তি অনুযায়ী রাজ্যের দখলেই থাকবে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ