মুর্শিদাবাদের অশান্তি। ফাইল ছবি
শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ঝামেলা চলছে। হঠাৎ বিএসএফের পোশাক, চপ্পল পরে কয়েকজন গুলি চালাল। গুলি লাগল অনেকের পায়ে, কোমরে, পেটে। গুরুতর আহত বাড়ির যুবক, কিশোররা। কেউ রয়েছেন বাড়িতে। কেউ এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মুর্শিদাবাদের অশান্তির সপ্তাহ তিনেকের পর ধুলিয়ানের বেশ কয়েকটি ওর্য়াডের বাসিন্দাদের দাবি এমনটাই। প্রশ্ন করছেন, “গুলি চালাল ওরা কারা?”
ধুলিয়ানের সরু রাস্তা কোনওটা গিয়ে ধাক্কা খাচ্ছে বাড়িতে। কোনওটা আরও সরু হয়ে মিশেছে অন্য কোথাও। ধুলিয়ানের ৪, ২১, ৩, ১১-সহ বেশ কয়েকটি ওর্য়াডের রাস্তা এমনই। স্থানীয়দের সাহায্য ছাড়া এলাকাগুলিতে নতুন কারও পক্ষে যাওয়া সহজ নয়। কেউ পথ দেখিয়েছে, এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রাই। এই এলাকাগুলিতে কম করে ৮ জন যুবক, কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে বাড়িতে বা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তাঁদের মধ্যে একজন চার নম্বর ওর্য়াডের মাসুম মহালাদার। বয়স ১৫। তার দু’পায়ে গুলি লেগেছে। ভর্তি বহরমপুরের একটি বেসরকারি নার্সিহোমে। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ২১ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দা সুজাউদ্দিন শেখ, ১১ ওর্য়াডের হাসান শেখও। তালিকাটি বেশ লম্বা। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, বিএসএফের পোশাক পরে, চপ্পল পরে বেশ কয়েকজন গুলি চালায়। ১১ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দা আহত হাসান শেখের মা সামিয়ারা খাতুনের কথায়, “১২ তারিখ সকাল ১০টা নাগাদ ওরা গুলি চালায়। পায়ে চপ্পল, বিএসএফের পোশাক, মুখে জাল লাগানো ছিল। আমার ছেলের পেটে গুলি লেগেছে। অবস্থা খুব খারাপ।” আর এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা শান্তি চাই, ভাইকে ফেরত চাই।”
মুর্শিদাবাদের অশান্তিতে বাবা-ছেলে খুন ও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে সরগরম নবাবের জেলা। তার আড়ালে ঘটে গিয়েছে এই কাণ্ড। যা সামনে আসেনি। এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয়রা। সপ্তাহ তিনেক আগে ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অশান্তিতে পরিণত হয়। সুতি, ধুলিয়ান, জাফরাবাদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নামাতে হয় বিএসএফ। হাই কোর্টের নির্দেশে নামে আধাসেনাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শরীরে ক্ষত নিয়ে আহতদের প্রশ্ন, চপ্পল পরে গুলি চালাল ওরা কারা?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.