রাজা দাস, বালুরঘাট: চতুর্দিকে খবরের ছড়াছড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনেই যে রয়েছেন স্বামী। কেমন আছেন তিনি? চিন্তায় ভাবনায় নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি গৃহবধূ। বারবার ফোন করে গিয়েছেন। উত্তর আসেনি। ফোন ধরে বলেননি চিন্তা করছো কেন, ঠিকই আছি। রক্তচাপ আরও বাড়তে থাকে। রাতে স্বামীর ফোন। ধরতেই যেন পায়ের তলার মাটি সরে গেল মহিলার। বুঝলেন আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতদের তালিকায় রয়েছেন তাঁর স্বামী দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার মালিগাঁওয়ের চন্দন রায়। আর সেই খবর শোনার পরেই বাড়িতে কান্নার রোল।
দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার মালিগাঁওয়ের চন্দন রায় কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে পাড়ি দেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আত্মীয় নিতম রায়। তিনি মালদহের বামনগোলার বাসিন্দা। তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মৃত চন্দন রায়ের স্ত্রী জানান, ট্রেন ছেড়েছিল সময়মতো। ফোন করে জানিয়েছিলেন। সন্ধেবেলাও কথা হয় দু-তিন মিনিট। তবে পরে আর তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: ‘ট্রেনে অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস ছিল না, তাই ভয়াবহ দুর্ঘটনা’, বিস্ফোরক মমতা]
বারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। রাতে তাঁর নম্বর থেকে ফোন আসে। অপরিচিত কেউ জানান, স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। চন্দনের আকস্মিক মৃত্যুতে যেন থমকে গিয়েছে সব কিছু। স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। চোখের জল যেন বাঁধ মানছে না তাঁর। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন চন্দন। কীভাবে সংসার চলবে, তা বুঝতেই পারছেন না তিনি।
দেখুন ভিডিও: