৪ আশ্বিন  ১৪৩০  শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

কাটমানি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ, মুচলেকা দিয়ে রেহাই ইঞ্জিনিয়রের

Published by: Tiyasha Sarkar |    Posted: July 2, 2019 3:21 pm|    Updated: July 2, 2019 3:21 pm

Will return cut money, say Mekliganj sub-assistant engineer

বিক্রম রায়, কোচবিহার: এ যেন কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। কাটমানি ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরের আন্দোলন কর্মসূচি দেখে এমনটাই বলছেন কোচবিহার জেলার রাজনৈতিক মহল। তুফানগঞ্জের অন্দরান ফুলবাড়ি ও বারোকোদালি এলাকায় জনরোষের মুখে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার মেখলিগঞ্জ পুরসভায় বিক্ষোভ দেখায় শহরবাসী। ‌বিক্ষোভের জেরে রীতিমতো মুচলেকা দিয়ে ছাড় পেতে হয় পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়রকে। প্রাপকদের ১২ জুলাই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]

অন্যদিকে, তুফানগঞ্জের ঘটনাকে মডেল করে জেলা জুড়ে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে পরিকল্পনা তৈরি করছে বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে কাটমানি ফেরতের দাবিতে আন্দোলনে নামবে তাঁরা। তুফানগঞ্জের টাকা ফেরত দেওয়ার ঘটনার নেপথ্যে যে বিজেপি ছিল সেই বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। সাফল্য পেতে জেলা জুড়ে টাকা ফেরত দাবিতে প্রতারিতদের নিয়ে নেতাদের ঘেরাও করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, “কেউ রেহাই পাবে না। প্রতারিতদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। তালিকা তৈরির পর প্রতারিতদের পাশে দাঁড়াবেন দলের নেতা, কর্মীরা। শুধু গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে নয়। এই আন্দোলন বিধায়ক ও মন্ত্রীদের ঘিরেও হবে।”

যদিও বিজেপির দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন জানিয়েছেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কাটমানি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরাও চান যারা অসাধু উপায়ে টাকা নিয়েছেন সেই টাকা যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে মেখলিগঞ্জ শহরবাসীর একাংশের অভিযোগ, সকলের জন্য বাড়ি প্রকল্পটিতে প্রায় ৬০০ ঘর বরাদ্দ হয়েছে। সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র প্রত্যেকটি পরিবারের কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে প্ল্যান তৈরির জন্য কাটমানি নেন। ওই টাকা এখন সকলে ফেরত চাইছেন। একশো টাকার স্ট্যাম্প পেপারে সই করে কাটমানি ফেরতের আশ্বাস দেন সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিশু অধিকারী। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে আশ্বাস দিলেও পরে তিনি বলেন, “রাজনৈতিকভাবে আমাকে় ফাঁসানো হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, মেখলিগঞ্জ পুরসভার মেয়াদ শেষ হওয়ায় মহকুমা শাসক নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় প্রশাসকের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনিও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: দূষণে মৃতপ্রায় নদী, জীবন বাঁচাতে পথ অবরোধ পুরুলিয়ার আমরুহাসাবাসীর]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে