প্রতীকী ছবি
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি ও বউমার মনোমালিন্য লেগে ছিল। ঝগড়াঝাটি প্রায়শয়ই কানে যেত প্রতিবেশীদের। তবে পরিণতি যে এত ভয়ঙ্কর হবে, তা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি কেউ। শাশুড়িকে হাত-পা বেঁধে ঘরের দরজা বন্ধ করে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ওই মহিলার বিরুদ্ধে। পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার পার্বতীপুর গ্রামের ঘটনায় বউমাকে আটক করেছে পুলিশ।
পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটার পার্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা নবতিপর রাজুবালা দাস। তাঁর একমাত্র পুত্রবধূ পুতুলরানি দাস। শনিবার সকালে দুজনেই বাড়িতে ছিলেন। সেই সময় ওই বাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। তা দেখে দৌড়ে আসেন। তাঁরা দেখেন বাড়িতে অর্ধমৃত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা। তবে পুত্রবধূর দেখা মেলেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সুতাহাটা থানার পুলিশ। বৃদ্ধারে উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার।
স্থানীয়দের দাবি, বউমা-শাশুড়ির সম্পর্ক ভালো ছিল না। বিয়ের পর থেকে দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। ঝগড়াঝাটি হত। দুজনের মধ্যে শনিবার সকালেও ঝগড়াঝাটি হয়েছে। অভিযোগ, অশান্তির জেরে বাড়িতে শাশুড়িকে একা পেয়ে প্রতিশোধ নেয় পুত্রবধূ। বৃদ্ধা শাশুড়ির হাত-পা বাঁধে মহিলা। এর পর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় পুতুল। এর পর বাড়ি ছেড়ে চলে যায় সে। শনিবার রাতে সুতাহাটা থানার আশেপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় পুতুলকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ মহিলাকে আটক করে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুধুই পারিবারিক অশান্তি নাকি এমন নারকীয় আচরণের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা জানতে মৃতার পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.