শঙ্কর রায়, রায়গঞ্জ: অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ। স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগে হাসপাতালের সামনে গনপিটুনি দেওয়া হল স্বামীকে। শনিবার সকালে এই ঘটনায় ধুন্ধুমার কাণ্ড রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত সুকুমার মণ্ডলকে। মারের চোটে সংজ্ঞাহীন কার্যত অবস্থা সুকুমারের। তাঁকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[তোলাবাজি রুখতে চেয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত খোদ তৃণমূল নেতা]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহারাজপুরের বাসিন্দা সুকুমার মণ্ডল। বছর চারেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নেতাজি মোড় এলাকার বাসিন্দা শিপ্রা (মমতা) শর্মার। বিয়ের পর থেকেই শিপ্রাকে তাঁর শ্বাশুড়ি ও স্বামী অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। শনিবার সকালে শিপ্রার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে স্বামী ও শ্বাশুড়ি। খবর পেয়ে শিপ্রার বাড়ির লোকেরা দ্রুত গিয়ে মেয়েকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই সময় তাদের সঙ্গে ছিল সুকুমারও। সুকুমার এর হাত এবং মুখও ছিল অল্পবিস্তর পুড়ে যায়।
[পরস্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে একা পুরুষই দোষী কেন, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের]
শিপ্রাকে ভরতি করানোর পরই সুকুমার হাতের সামনে পেয়ে শিপ্রার বাড়ির লোক তাঁর উপর চড়াও হয়। শুরু হয় উত্তমমধ্যম। মূলত ওই বধূর মা এবং আত্মীয়রা হাসপাতাল চত্বরেই সুকুমারকে গনপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। স্বল্প অগ্নিদগ্ধ সুকুমারকে আহত অবস্থায় আটক করে জেলা হাসপাতালেই চিকিৎসা করাতে ভরতি করিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ছবি: দীপিকা দে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.