ধীমান রায়, কাটোয়া: পেটে টিউমার। অস্ত্রোপচার না করলে গর্ভস্থ ভ্রুণের ক্ষতি হবে। ভয় দেখিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তাতেই নষ্ট হয়ে যায় গর্ভস্থ ভ্রুণ। ওই মহিলার শারীরিক অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[ স্বামী-প্রেমিক দু’জনকেই ফাঁদে ফেলে আর্জিনা! মধ্যমগ্রামে নৃশংস খুনে নয়া মোড়]
কেতুগ্রামের বিরুরী গ্রামের বাসিন্দা আনিস শেখের মেয়ে জ্যোৎস্না বিবি। তাঁর শ্বশুরবাড়ি কেতুগ্রামেরই কোজলসা গ্রামে। জ্যোৎস্নার দুই মেয়ে। মাস চারেকের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। বাপের বাড়িতে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন। জ্যোৎস্না বিবি জানিয়েছেন, গত ২২ অক্টোবর কেতুগ্রামের আমগেড়িয়ায় হাতুড়ে চিকিৎসক কাবেন্দু বিশ্বাসের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেয় ওই হাতুড়ে চিকিৎসক। রিপোর্ট নিয়ে যখন ফের কাবেন্দুর কাছে যান তিনি, তখন সে ওই গৃহবধূকে বলে, পেটে টিউমারের মতো কিছু একটা রয়েছে। যদি অস্ত্রোপচার না করা হয়, তাহলে গর্ভস্থ ভ্রুণের ক্ষতি হবে। শুধু তাই নয়, দুই মেয়ের মা জ্যোৎস্নার এবার ছেলে হবে বলেও আশ্বস্ত করেছিল হাতুড়ে চিকিৎসক কাবেন্দু বিশ্বাস। এরপর অস্ত্রোপচারে আর আপত্তি করেননি জ্যোৎস্না বিবি।
ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকেদের দাবি, অস্ত্রোপচার করার জন্য ১২ হাজার টাকা নিয়েছে কাবেন্দু। এমনকী, সে নিজেই গাড়ি ভাড়া করে জ্যোৎস্নাকে কাটোয়ার একটি নার্সিংহোমে ভরতিও করে দেয়। কিন্তু, অস্ত্রোপচারের পরই ওই গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার তাঁকে ভরতি করা হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গর্ভের ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাটোয়া হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে জ্যোৎস্না বিবির। অভিযুক্ত হাতুড়ে চিকিৎসক কাবেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা। তাকে গ্রেপ্তার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ।
ছবি: জয়ন্ত দাস
[ দুই মন্দির থেকে ৭০ ভরি গয়না চুরি, অপসারিত ওসি]