ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি : ক’দিন আগেও খুচরোর আকালে ট্রেনে, বাসে, অটোতে আকছার চোখে পড়েছে বচসা, মারপিট৷ কিন্তু এবার মুঠোভর্তি খুচরো কয়েন নিয়েও দেখা দিয়েছে নয়া বিপত্তি। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের রায়গঞ্জ ডিপোতে নোটিস ঝুলিয়ে বলে দেওয়া হয়েছে দিনে একশো টাকার বেশি কোনও কনডাক্টর নিগমের ক্যাশ কাউণ্টারে খুচরো কয়েন জমা করতে পারবেন না। ফলে একদিকে কনডাক্টররা যাত্রীদের কাছ থেকে খুচরো নিতে নারাজ। অন্যদিকে যাত্রীরা সে কথা শুনতে চাইছেন না। এর জেরে তুমুল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এনবিএসটিসি-র রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার সুবীর সাহার দাবি, “ব্যাঙ্ক খুচরোতে মোটা টাকা জমা নিতে চাইছে না৷ সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে৷”
রায়গঞ্জ ডিপো থেকে দিনে ৪২টি বাস চলে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের৷ তা থেকে এই ডিপোতে যাত্রী ভাড়া বাবদ দিনে ৩ লক্ষ টাকার মতো আয় হয়৷ যার মধ্যে গড়ে আট-নয় হাজার টাকা ওঠে খুচরোতেই। যাত্রী ভাড়া বাবদ কয়েন সংগ্রহ হয় এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার মতো৷ ফলে এত খুচরো পয়সা কীভাবে নোটে বদলানো যাবে, তা নিয়েই এখন দুশ্চিন্তায় কর্তৃপক্ষ।
এই গ্রামে স্কুলে যান ষাটোর্ধ্ব মহিলারাও
দুম করে এমন একটা নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ কনডাক্টররা৷ তাঁদের বক্তব্য, যাত্রীরা অনেকেই খুচরো দিচ্ছেন। ভাড়া তো নিতেই হবে। কিন্তু এরপর সেই খুচরো চালাতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে। কিছুদিন আগেও একশো টাকায় কুড়ি-ত্রিশ টাকা পর্যন্ত ‘বাটা’ দিতে হয়েছে৷ খুচরো না থাকায় বাসে যাত্রীদের সঙ্গে কতই না গন্ডগোল হয়েছে! এখন এমন নোটিস তাঁদের বিপাকে ফেলেছে বলে অভিযোগ কনডাক্টরদের। যাত্রীদের কেউ কেউ অবশ্য অভিযোগ করেছেন, এনবিএসটিসি-র অনেক কনডাক্টর বাজার থেকে নাকি খুচরো নিয়ে নোট দিচ্ছিলেন৷ বিনিময়ে মিলছিল কমিশনও। সে কথা কানে আসতেই খুচরোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ যদিও এ অভিযোগ মানতে চাননি কনডাক্টররা।
ফেসবুকে ৬ নামে উদয়ন, খুন করেও চালু রাখে বাবার প্রোফাইল