ধীমান রায়, কাটোয়া: রক্তের সম্পর্কে কাকা-ভাইঝি৷ কিন্তু, বন্ধনটা ছিল প্রেমের৷ সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেনি দুটি পরিবার৷ তাই বাড়ি থেকে পালিয়েই প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন বর্ধমানের ভাতারের বিদ্যুৎ মাঝি। অভিযোগ, বাধা পেয়ে ধারালো অস্ত্রের কোপে নিজের পিসিকে খুন করেছে সে৷ যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে পুলিশ৷
[দশম সন্তানকে খুন করে দেহ গায়েবের চেষ্টা, হাতেনাতে ধৃত বাবা]
প্রেমকে দেশকালে গণ্ডিতে বেধে রাখা যায় না৷ নিজের অজান্তে কখন যে মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে যায়, তা টেরও পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু, মানুষ তো সমাজবদ্ধ জীব৷ তাই প্রেমের সম্পর্কেও সামাজিক নিয়ম মেনে চলতে হয়৷ আর উলটোটা হলেই বিপদ! ঠিক তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের ভাতারের ভাটাকুল গ্রামে৷ নিজের পিসতুতো দাদার মেয়ে মানে ভাইঝি লক্ষ্মীর প্রেমে পড়েছিল এ গ্রামেরই যুবক বিদ্যুৎ মাঝি৷ কাকাকে ভালবেসেছিল ভাইঝিও৷ কিন্তু, রক্তের সম্পর্ককে বৈবাহিক সম্পর্কের রূপ দিতে রাজি ছিল না দুই পরিবার৷ লক্ষ্মী ও বিদ্যুৎ দু’জনকেই বারবার সতর্ক করেছিল তাঁদের বাড়ির লোকেরা৷ কিন্তু, তাতেও কোন কাজ হয়নি৷ স্কুল পড়ুয়া ভাইঝির প্রেমে বিদ্যুৎ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল, যে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার ছক কষে সে৷
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বারোটা নাগাদ প্রেমিকা লক্ষ্মীর বাড়িতে যায় বিদ্যুৎ৷ প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল সে৷ কিন্তু তাঁদের দেখে ফেলেন লক্ষ্মীর ঠাকুমা আরতি মল্লিক৷ তিনি আবার সম্পর্কে বিদ্যুৎ-এর আপন পিসি৷ তাঁরই ছোট ছেলের স্বদেশের ছোট মেয়ে লক্ষ্মী৷ বাধা দিলে, পিসিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে পালিয়ে যায় বিদ্যুৎ৷ রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় আরতিদেবীকে ভরতি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ সোমবার সকালে মারা যান তিনি৷ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ তবে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে ভাতার থানার পুলিশ৷
ছবি: জয়ন্ত দাস
[বড়দিনে বাঙালির শীতভাগ্য কেমন? জানালেন হাওয়া অফিসের কর্তারা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.