বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় পঁচিশ বছরের এক যুবককে পিটিয়ে মারল পাশের পাড়ার বেশ কয়েক জন। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কালীনগর এলাকায়। নিহত যুবক বাপি মালাকারের (২৫)। অপরাধ, ভাগ্নি-সহ অল্পবয়সি কিছু মেয়েকে ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন ওই যুবক। তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই যুবকের দল পিটিয়ে মারল বাপিকে।
[ফের ইফতার খেয়ে অসুস্থ পঞ্চাশেরও বেশি বাসিন্দা, আতঙ্ক বংশীহারিতে]
এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবার রাতভর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে এলাকায় লোকনাথ পুজোর অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠান চলাকালীন কয়েক জন যুবক বাপির ভাগ্নি ও বেশ কয়েকটি মেয়েকে অনেকক্ষণ ধরে উত্ত্যক্ত করছিল। বিষয়টি দেখার পর বাপি প্রতিবাদ করেন। ওই রাতেই অভিযুক্তেরা বাপিকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। সোমবার রাতে বাপিকে একা পেয়ে অভিযুক্তেরা তাঁর উপরে চড়াও হয়। চলে বেধড়ক মারধর। আর্তনাদ শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীদলটি। গুরুতর আহত বাপি মালাকারকে তড়িঘড়ি স্থানীয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় স্থানান্তর করা হয়। তবে কলকাতা পৌঁছানোর আগে পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এই ঘটনার প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে কৃষ্ণনগর-বগুলা রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা। বুধবার ভোর পর্যন্ত চলে অবরোধ। পুলিশ এসে আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়।
[অভাবকে জয়, মাধ্যমিকে ৬৭৩ পেয়ে বসতির ঘুপচি ঘরে সূর্যের আলো এনেছে রবি]
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কৃষ্ণনগর আদালতে তোলা হবে। নদিয়ার নতুন পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে। অবশ্য ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করার কৃষ্ণনগর রথতলা মোড়ে ফের মৃতদেহ আটকে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘন্টাখানেক অবরোধের বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বাপি মালাকারের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
ছবি: সুজিত মণ্ডল