সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলন্ত ট্রেনে যাত্রীর পকেট থেকে মোবাইল ছিনতাই চম্পট দিচ্ছিল দুষ্কৃতী। নিজের মোবাইলটি উদ্ধার করতে চলন্ত ট্রেন থেকেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন যুবক। সেটাই কাল হল তাঁর। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই যুবক ভরতি নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে নৈহাটির গরিফা স্টেশনে এই ঘটনায় শুরু হয়েছে তদন্ত।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে উলুবেড়িয়া স্টেশনেও এভাবে দামি মোবাইল ছিনতাই হওয়া রুখতে গিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়েছেন সৌরভ ঘোষ নামে এক যুবক। তার মাশুল দিতে হয়েছে প্রাণ দিয়ে। রেললাইনে মাথা থেঁতলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নৈহাটির গরিফাতেও প্রায় একই ধরনের ঘটনা। এদিন আপ বালিয়া এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন ওই যুবক। নৈহাটি পেরিয়ে গরিফার দিকে ট্রেন ছুটতেই জনৈক দুষ্কৃতী তাঁর মোবাইলটি ছিনতাই করে পালায়। কিন্তু মোবাইল উদ্ধারের জন্য সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপ দেন তিনি। বেকায়দায় পড়ে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। নাকেমুখে আঘাত লেগেছে তাঁর। এই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ভরতি করা হয় নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
[ আরও পড়ুন: ফলতার প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছেন শ্রমিকরা]
পরপর এমন ঘটনায় রেলে নিত্যযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতেও এভাবে ছিনতাইবাজদের দাপট বাড়া সত্বেও কেন তা রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে না রেল, এই প্রশ্ন তুলছেন সকলে। এদিকে, যাত্রী সুরক্ষায় বাড়তি জোর দেওয়ার কথা প্রায়ই শোনা যায় রেলের তরফে। বাজেটেও সেদিকে নজর রাখা হয়। তা সত্ত্বেও ট্রেনে এমন ঘটনা অবাধেই ঘটে চলেছে। অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে, তার সুরাহা হয় না। এমনই দাবি যাত্রীদের। নৈহাটির ঘটনা ফের সেই নিরাপত্তাহীনতার চিত্রটাই তুলে ধরল।