নন্দন দত্ত, সিউড়ি: পিসতুতো বউদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। তার জেরে এক যুবককে খুন করার অভিযোগ উঠল পিসির বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্ত পিসি। চাপে পড়ে সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পিসতুতো বউদি।
মৃত যুবকের নাম গণেশ মাল (২৪)। বাড়ি বীরভূমের মাড়গ্রামের নামুপাড়া। ছোটবেলাতেই বাবা-মা মারা যাওয়ায় গণেশ থাকত পিসির বাড়িতেই। সেখানেই পিসির বড় ছেলের স্ত্রী সঙ্গে দেওরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে গড়ে ওঠে। একই বাড়িতে থাকতে থাকতে বউদির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে গণেশ। এ নিয়ে বাড়িতে অশান্তি ছিলই। শুক্রবার বিকেলে রং খেলে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে গণেশ। মদ্যপ অবস্থায় সম্পর্কের দাবিতে প্রকাশ্যেই সে বউদির শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। এনিয়ে বাড়িতে অশান্তি শুরু হয়।
[দুদিনে তিনটি খুন ঘিরে চাঞ্চল্য, তেহট্টে ব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার]
এরপরই গণেশের দেহ উদ্ধার হয়। ভাইপোকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য পিসি গ্রামের লোককে ভাড়া করে বলে অভিযোগ। তারাই প্রথমে শ্বাসরোধ করে গণেশকে খুন করে। পরে তাকে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বউদি বুনু মাল বলেন, “ওরা দু’ভাইয়ে হোলিতে মদ্যপান করছিল। আমি যখন দেখতে যাই তখন ওরা একসঙ্গে ঘরে শুয়ে ছিল। শাশুড়ি দু’জনকেই বকাবকি করেন। তারপরেই দেখছি গণেশ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে।” যদিও গণেশকে দড়ির ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় কেউ তাঁকে দেখেনি। এমনকী তাঁকে উদ্ধারও করেনি। পাশাপাশি পিসির অসঙ্গতিমূলক কথাবার্তায় গণেশের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বেড়েছে।
গণেশের ভাই নয়ন বলে, “শুক্রবার বিকেলের দিকে পিসি দাদাকে বকাবকি করছিল। ঘর থেকে বের করে দিচ্ছিল। কেন দাদাকে বের করে দিচ্ছেন জানতে চাইতেই বলে বউদিকে ধরে টানা-হেঁচড়া করেছিল। তারপর ওদের অশান্তির মধ্যে আমি আর থাকিনি। বাড়ি ফিরে যাই। রাতে পিসি আমাকে বাড়িতে ডাকতে যায়। বলে তোর দাদা ভাত খেতে উঠছে না। আমি গিয়ে দেখি দাদার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছে। পিসি কখনও বলছে গলায় দড়ি নিয়েছে। কখনও বলছে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। কখনও বলছে বুকে ব্যথা উঠেছিল, দিয়ে মারা গিয়েছে। আমরা দাদার মৃত্যুর তদন্ত চাই।” ঘটনার পর থেকে পিসি রাধারানি মাল পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
[বেপরোয়া গতি, হোলি খেলে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত ৪]