Advertisement
Advertisement
মৃত

উচ্চমাধ্যমিকের পরই কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে, গুজরাটে অসুস্থ হয়ে মৃত পুরুলিয়ার যুবক

এবছরই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন ওই যুবক।

Youth work in other state, come back home died
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 3, 2019 9:40 pm
  • Updated:June 3, 2019 9:42 pm

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে পেটের টানে গুজরাটে কাজ করতে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ার এক যুবক। ঠিকাদারি সংস্থার অধীনে নির্মাণ কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে পেটের অসুখ। আর সেখানেই মৃত্যু হল যুবকের। সোমবার তাঁর নিথর দেহ পৌঁছালো বাড়িতে। বান্দোয়ান থানার গঙ্গামান্না গ্রামের এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়। সদ্য এক যুবকের  মৃত্যু নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। তবে এনিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

[আরও পড়ুন: অসন্তোষের আঁচে তপ্ত মণিরুল, বিজেপি নেতৃত্বকে পাঠালেন ইস্তফাপত্র]

জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম প্রসেনজিৎ রাজোয়াড় (২০)। বাড়ি বান্দোয়ান থানার গঙ্গামান্না গ্রামে। এবছরই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেন তিনি। কিন্তু অভাবের সংসারে এর বেশি পড়াশোনা মানে বিলাসিতা। তাই উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশের আগেই ১৯ মে গ্রামের আরও তিনজন যুবকের সঙ্গে গুজরাট রওনা হন প্রসেনজিৎ। এই গ্রামের বহু যুবক আগে থেকেই গুজরাটে কাজের জন্য গিয়েছিলেন। তাদের সূত্র ধরেই প্রসেনজিতের গুজরাট যাওয়া।

Advertisement

জানা গিয়েছে, গুজরাটের ভুরুঞ্চু জেলার  যাগেশ্বর গ্রামে ঠিকাদারি সংস্থার অধীনে নির্মাণ কাজে যোগ দিয়েছিলেন ওই যুবক। তিনদিন কাজ করার পরেই প্রচণ্ড পেট ব্যথায় কাবু পড়েন প্রসেনজিৎ। এরপরই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ফেরার সময় স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ। রেলের তরফে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এরপর ৩১ মে রাতে মৃত্যু হয় প্রসেনজিতের।

Advertisement

সঙ্গীদের থেকে জানা গিয়েছে,  গত ২১ মে তাঁরা গুজরাট পৌঁছেছিলেন। সেখানে তাঁদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। এরপর ২৩ মে কাজে যোগ দেন তাঁরা। কাজ শুরুর তিনদিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রসেনজিৎ। ওই ঠিকাদারি সংস্থা তাঁকে হাসপাতালেও ভরতি করে। সেখানে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। এই বিষয়টি বাড়িতে জানালে তাঁরা প্রসেনজিৎকে দ্রুত বাড়ি ফিরতে বলেন। এরপর ৩১মে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তিনি, সেদিন পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে কথাও হয় তাঁর। শরীর খারাপের কথাও জানান। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

[আরও পড়ুন: খুনের পর মৃতের উপর যৌন নির্যাতন! চেনম্যানকে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]

ঠিকাদারি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রসেনজিৎ স্টেশনে অসুস্থ হয়ে পড়লে রেল কর্তৃপক্ষই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু ঠিকাদারি সংস্থার এই কথা বিশ্বাসই করে উঠতে পারছে না গ্রামের বাসিন্দারা। বান্দোয়ান পশ্চিমে বিজেপির মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক ধ্রুবপদ মাহাতোর কথায়, “বাংলার মানুষকে যাতে ভিন্ন রাজ্যে কাজে না যেতে হয় তাই রাজ্য সরকার এই শ্রমিকদের জন্য একটি প্রকল্প চালু করার করার কথা বলেছিল। সেখানে এই শ্রমিকদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।” তিনি বলেন, ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া এই যুবকের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য সরকারকেই। গ্রামের ছেলের মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ