টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: পুরুলিয়ার পর এবার বাঁকুড়া। দীর্ঘ লড়াই শেষ। বুধবার এক ধাক্কায় এক ডজন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। সংক্রমিতদের মধ্যে ১০ জনই ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছেন। একজন ফিরেছিলেন কলকাতা থেকে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বাঁকুড়ায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাড়ছে সংক্রমণের আতঙ্কও। এদিনের পর পরিযায়ী শ্রমিকরা প্রশাসনের রক্তচাপ বাড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
লকডাউনের শুরু থেকেই গ্রিন জোন ছিল বাঁকুড়া। জেলা প্রশাসনের কড়া নজরদাড়ি ও সামাজিক দূরত্ববিধি মানার ফলেই করোনার সংক্রমণ খানিকটা এড়ানো সম্ভব হয়েছিল। একটা সময় মনে করা হচ্ছিল গ্রামাঞ্চল ও কয়েকটি জেলা হয়তো সংক্রমণ এড়াতে পারবে। কিন্তু পরে এই জেলায় তিনজন আক্রান্তের হদিশ মেলে। তার মধ্যে দুজন কলকাতা থেকে এসেছিলেন। যদিও তাঁদের মধ্যে এক কিশোর মঙ্গলবারই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। এর মধ্যেই এক ধাক্কায় ১২ জন আক্রান্ত হলেন। যা আতঙ্ক বাড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন : পরিযায়ীদের নিয়ে মহারাষ্ট্র থেকে পর পর ট্রেন আসছে বাংলায়, বেজায় ক্ষুব্ধ রাজ্য]
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে ১০ জনের বাড়ি ছাতনা এলাকায়। বাকি দুজন যথাক্রমে শালতোড়া ও খাতড়া এলাকায়। ছাতনা এলাকার দশজনই মহারাষ্ট্রের পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। ১৪-১৫ তারিখ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে বাড়ি ফিরেছেন। তারপর থেকে তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ২১-২২ তারিখ তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বাকি দুই আক্রান্তের মধ্যে একজন কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন। অপরজন অবশ্য বাঁকুড়ারই বাসিন্দা। এরপর মঙ্গলবার সকলের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। জানা যায়, ১২ জনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের দুর্গাপুরের সনকা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। আক্রান্তদের প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে।
[আরও পড়ুন : গ্রিনজোন পুরুলিয়ায় করোনার থাবা, প্রথম আক্রান্ত মহারাষ্ট্র ফেরত শ্রমিক]
প্রসঙ্গত, প্রতিদিন স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। যার মূল কারণ ভিন রাজ্য ফেরত শ্রমিকরা। এদিনের বাঁকুড়ার ঘটনায় হাতেনাতে তার প্রমাণ মিলল।