Advertisement
Advertisement

Breaking News

Joka ESI

করোনা রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, কাঠগড়ায় জোকার ESI হাসপাতাল

মৃত বৃদ্ধার মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ পরিবারের।

Death of corona patient at Joka ESI hospital,family accusses negligence of treatment | Sangbad Pratidin

ছবি: ফাইল

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 15, 2021 8:49 am
  • Updated:May 15, 2021 8:53 am

অভিরূপ দাস: চিকিৎসার গাফিলতিতে করোনা (Coronavirus)আক্রান্ত বৃদ্ধার মৃত্যু। এই অভিযোগে জোকার ইএসআই (ESI) হাসপাতালের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ মৃতার পরিবার। মৃতার ছেলের অভিযোগ, হাসপাতালের উঁচু বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে মায়ের মাথায় আঘাত লেগেছে, তাতেই মৃত্যু। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পালটা দাবি, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছেন বৃদ্ধা। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রোগীর পরিবারের বচসাও বাঁধে। ঠাকুরপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

করোনা আক্রান্ত হয়ে জোকার (Joka) ইএসআই হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন বর্ধনপল্লির বাসিন্দা রাবেয়া হোসেন। শুক্রবার হাসপাতালের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে আকবর হোসেনকে জানানো হয়, তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। জোকা বর্ধনপল্লির বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার পরিবারের অভিযোগ, কোভিডে মৃত্যুর খবর ভুয়ো। আদতে মৃত্যুর কারণ অন্য। কেন তাঁর এই অভিযোগ? বৃদ্ধার ছেলে আকবর হোসেনের দাবি, ”মায়ের মৃতদেহ দেখেই আমরা সত্যিটা বুঝতে পেরেছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: খাওয়াতে গিয়ে করোনা রোগীর মৃত্যু! বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কমিশনে মৃতের মেয়ে]

স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, করোনা রোগীর মৃত্যু হলে সংক্রমণ এড়াতে সেই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তবে শেষবারের মতো দেহ দেখতে পাবেন পরিবারের সদস্যরা। স্বাস্থ্য দপ্তরের আরও নিয়ম, কোনও করোনা রোগীর মৃত্যু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে পরিজনদের সেই খবর জানাতে হবে। অপেক্ষা করতে হবে পরিজনদের জন্য। মৃতের পরিজনেরা হাসপাতালে এসে পৌঁছলে ১০-১২ ফুট দূরত্ব থেকে দেহ দেখাতে হবে। আর এখানেই বৃদ্ধা রাবেয়া হোসেনের মৃতদেহ দেখে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তাঁর ছেলে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোচবিহারের পর এবার ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ খতিয়ে দেখতে নন্দীগ্রাম যাচ্ছেন রাজ্যপাল]

১০ ফুট দুর থেকে মায়ের মৃতদেহ দেখতে গিয়েই চমকে যান আকবর। তাঁর কথায়, ”মায়ের মাথায় আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট। রয়েছে চাপ চাপ রক্তের দাগ।” প্রশ্ন উঠছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু হলে মাথায় আঘাতের চিহ্ন কোথা থেকে এল? বৃদ্ধার ছেলে আকবর হোসেন জানিয়েছেন, ”যে বেডে মায়ের চিকিৎসা চলছিল তা অনেকটাই উঁচু। এই নিয়ে মা একদিন আমায় ফোনে জানিয়েও ছিলেন।” আকবরের অভিযোগ, ‘ওই বেড থেকে পরে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর মায়ের। কোভিডে মায়ের ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করছিল না। স্বাভাবিকভাবেই আঘাত সহ্য করতে পারেননি তিনি। এই বিষয়ে ইএসআই হাসপাতালের সুপারকে চিঠি দিয়েছে ওই বৃদ্ধার পরিবার। অভিযোগ জানানো হয়েছে ঠাকুরপুকুর থানাতেও। যদি এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইএসআই হাসপাতালের সুপার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অক্সিজেনের মাত্রা কমছিল তাঁর শরীরে, তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ