ধীমান রায়, কাটোয়া: লকডাউনের শুরু থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় ভাগীরথী নদীর ফেরিঘাটগুলিতে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। শুধুমাত্র রোগী এবং অত্যাবশকীয় পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে ফেরি পরিষেবায় ছাড় ছিল। কিন্তু এই সুযোগে কেউ ভুয়ো প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে, কেউ বাজারে কেনাকাটার অজুহাত দেখিয়ে কাটোয়া বল্লভপাড়া ফেরিঘাট দিয়ে দিব্যি যাতায়াত করছিলেন। শুক্রবার খবর পেয়েই কাটোয়া থানার পুলিশ অভিযান চালায়। নদিয়া জেলার সীমানায় বল্লভপাড়া ফেরিঘাট থেকে আসা শতাধিক যাত্রীকে কাটোয়া ঘাটে নামার আগেই পুলিশ তাঁদের ফেরত পাঠিয়ে দিল।
এই যাত্রীদের অনেকেরই মুখে মাস্ক ছিল না। তার জন্য তিনজন মহিলাকে আটক করে কাটোয়া থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি নদিয়ার নসিপুর এলাকায়। প্রায় চার ঘন্টা তাঁদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়। শেষমেশ মাস্ক পরে তবেই বাইরে বেরবেন, মহিলারা এই প্রতিশ্রুতি দিলে পুলিশ তাঁদের ছেড়ে দেয়।
[আরও পড়ুন: ডায়েটের প্রতিরোধ ক্ষমতায় লুকিয়ে রহস্যের চাবিকাঠি, এ রাজ্যে CRPF-কে ছুঁতে পারল না করোনা]
শুক্রবার দুপুর নাগাদ সূত্র মারফত পুলিশ খবর পায়, বল্লভপাড়া ফেরিঘাট থেকে একটি নৌকায় প্রায় ৭০ – ৭৫ জন যাত্রী একসঙ্গে আসছে। হঠাৎ এত বেশি সংখ্যক যাত্রী একটি নৌকায় কীভাবে আসছে, তা খতিয়ে দেখতে কাটোয়া থানার পুলিশ ফেরিঘাটে পৌঁছায়। নদিয়া জেলার বাসিন্দা ওই যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাতেই জানতে পারে, অধিকাংশই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বল্লভপাড়া থেকে কাটোয়া শহরে আসার চেষ্টা করছেন। নৌকায় ছিল বেশ কিছু সাইকেল, মোটরসাইকেলও।
[আরও পড়ুন: মহিষাদলে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ, কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু যুবকের]
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বাধা দেয়। তারপর অধিকাংশ যাত্রীদের বল্লভপাড়া ফিরে যেতে বাধ্য করে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে, বল্লভপাড়া ফেরিঘাটে নদিয়া জেলার পুলিশ চেকিং করার পরেও এত বেশি সংখ্যক যাত্রীদের কেন নৌকায় ওঠার অনুমতি দিল। কাটোয়া মহকুমা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ” আমরা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফেরিঘাটে কাউকে পারাপার করতে দেব না। প্রত্যেক যাত্রীকে চেকিং করে তবেই ছাড়া হচ্ছে।” পাশাপাশি এদিনের ঘটনার জন্য কাটোয়া ফেরিঘাটে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ছবি: জয়ন্ত দাস।