সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষবার বিশ্বব্যাপী এ হেন ভয়াবহ মন্দা দেখা দিয়েছিল ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষে। করোনার জেরে এক দশকের সর্ববৃহৎ আর্থিক মন্দার দিকে হাঁটছে বিশ্ব। এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। আইএমএফের মতে, এখনই করোনার প্রকোপ কমানো না গেলে আগামী বছরও বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না।
স্পেন, ইটালি, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো বড় বড় অর্থনীতির দেশে এই মুহূর্তে উৎপাদন একপ্রকার বন্ধ। করোনার প্রভাবে এই মুহূর্তে সর্বকালের সর্ববৃহৎ ‘লকডাউন’ এলাকায় পরিণত হয়েছে ভারত। যা পরিস্থিতি তাতে শীঘ্রই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি আমেরিকা লকডাউনে চলে যেতে পারে। চিনের পণ্যও বিদেশে বেচাকেনা একপ্রকার বন্ধ। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে এক জায়গায় থমকে দাঁড়িয়ে বিশ্ব অর্থনীতি। আইএমএফের (International Monetary Fund) মতে, অর্থনীতির এই থেমে থাকাটা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক।করোনার প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা ২০০৮-০৯ অর্থবর্ষের থেকেও খারাপ হতে পারে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা (Kristalina Georgieva) জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ টিরও বেশি দেশ তাঁদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চেয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই স্বল্প আয়ের দেশ।
আর্থিক এই মন্দার মূল কারণ হল লকডাউন। আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা মনে করছেন, এই লকডাউন বিশ্বের আর্থিক এবং সামাজিক কাঠামো ভেঙে দেবে। এর ফলে বহু সংস্থায় ছাঁটাই এবং বহু মানুষের কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন তিনি। তাঁর মতে, আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই মন্দা চরমে উঠবে।
এই মন্দা থেকে বাঁচার স্পষ্ট কোনও রুটম্যাপ না দেখাতে পারলেও আইএমএফের মতে এখনই করোনা নিয়ন্ত্রণ করে লকডাউন তুলে দিতে পারলি আগামী বছরের মাঝামাঝি অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। যদিও সে সম্ভাবনা একপ্রকার নেই বললেই চলে। জর্জিয়েভা বলছেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে প্রায় ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।কিন্তু মন্দার বাজারে এত টাকা বাজারে কারা ঢালবে বা এই অর্থ কথা থেকে আসবে টা নিয়ে মুখ খলেনি IMF।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.