Advertisement
Advertisement
আপ কর্মী

‘বিধায়ক নন, দুষ্কৃতীদের টার্গেট ছিলেন আপ কর্মীই’, দিল্লির গুলি কাণ্ডে দাবি পুলিশের

আপ কর্মীকে খুনের ঘটনায় ১জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

‘Aam Admi Party's MLA wasn’t the target’, says Delhi police
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 12, 2020 12:50 pm
  • Updated:February 12, 2020 3:29 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ দিল্লির অরুণা আসফ আলি মার্গে আপ কর্মী খুনের ঘটনার তদন্তে নয়া মোড়। পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতী বিধায়কের কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালালেও, তাদের টার্গেট ছিলেন না বিধায়ক। আপের নিহত কর্মীকেই টার্গেট করেছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে ঘটনা সংক্রান্ত আরও নানা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পরই রক্ত ঝরেছে দিল্লিতে। মঙ্গলবার রাতে মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন মেহরৌলির বিধায়ক নরেশ যাদব। দক্ষিণ দিল্লির অরুণা আসফ আলি মার্গে তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। তবে তাতে বিধায়কের কোনও চোটাঘাত লাগেনি। পরিবর্তে মারা যান এক আপ কর্মী এবং গুরুতর আহত হন আরেকজন। প্রথমে অনেকেই মনে করেছিলেন, বিধায়কই হয়তো দুষ্কৃতীদের টার্গেটে ছিল। তাই নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের অনুমান, আপ বিধায়ক নরেশ যাদবকে খুন করা ওই দুষ্কৃতীদের লক্ষ্য ছিল না। পরিবর্তে আপ কর্মী অশোক মানজিই ছিলেন তাদের টার্গেট। দুষ্কৃতীদের লক্ষ্যপূরণও হয়। কিন্তু কী কারণে খুন করা হল ওই আপ কর্মীকে? পুলিশের অনুমান, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন হতে হল অশোককে। সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত একজনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সন্দেহের বশে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে আত্মঘাতী প্রৌঢ়]

ঝোড়ো ইনিংস খেলে হ্যাটট্রিক করে ফেলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীর আস্থার পরীক্ষায় এবছরও রীতিমতো স্টার মার্কস পেয়ে পাশ করেছে আপ। আগামী ৫ বছরে রাজধানীর প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ থাকছে আম আদমি পার্টির হাতেই। বিধানসভায় ৭০ টি আসনের মধ্যে ৬২টি আসন পেয়েছে কেজরি অ্যান্ড কোং। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার সিদ্ধান্ত অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। তবে কনভয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার পর থেকে আতঙ্কে কাঁটা বিধায়ক নরেশ যাদব। দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে জয়ের আনন্দ যেন অনেকটাই ম্লান। রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ