প্রতি বছরের মতো এবছরও বিশ্বের নানা প্রান্তে সন্ত্রাসী হানায় রক্ত ঝরেছে সাধারণের। কোথাও আত্মঘাতী বোমার আঘাতে, কোথাও আবার বন্দুকবাজের বুলেটের ঘায়ে মায়ের কোল খালি হয়েছে। কখনও ধর্মের নামে, কখনও আবার বদলা নিতে খালি হয়েছে জঙ্গিদের মেশিনগানের ম্যাগাজিন। আল কায়দা থেকে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের চোখরাঙানির ভয়ে ঘুমোতে গিয়েছে বিশ্ববাসীর একাংশ। বছরশেষে ঘুরে দেখা সেই সব সন্ত্রাসী কাণ্ডকারখানা যা উঠে এসেছিল শিরোনামে-
ইস্তানবুলের নাইটক্লাবে হামলা: বছরের শুরুতেই বুলেটে ঝাঁজরা হয়ে গেলেন ৩৯ জন নিরীহ মানুষ। ২০১৭-র পয়লা জানুয়ারি ইস্তানবুলের রেইনা নাইটক্লাবে নয়া বছরের পার্টিতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে ইসলামিক স্টেটের বন্দুকবাজ। হামলার অভিযোগে ১৭ জানুয়ারি উজবেকিস্তানের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হামলায় মৃত্যু হয় ২ ভারতীয় নাগরিকেরও। মৃতদের মধ্যে একজন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদের পুত্র আবিস রিজভি৷ অন্যজন গুজরাটের বাসিন্দা খুশি সিনহা৷
বাগদাদে গাড়ি-বোমা হামলায় নিহত ৫৯: ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ধারাবাহিক গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ১২২ জন। শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত সদর শহরে একের পর এক গাড়িতে রাখা বোমা ফেটে প্রাণ হারান পথচলতি সাধারণ মানুষ। হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। হামলার তীব্র নিন্দা করেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদি। গোটা বছরজুড়েই ইরাকে একাধিক বড় মাপের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
সিরিয়ায় ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ: ইরাকের মতোই সিরিয়াতেও বছরভর শোনা গিয়েছে বোমা বিস্ফোরণের তীব্র শব্দ। জানুয়ারিতে ইরাকের আজাজ শহরের এক ব্যস্ত বাজারে গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৬০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষের। ফেব্রুয়ারিতে এক গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় মৃত্যু হয় ৬১ জনের। হামলার দায় নেয় ইসলামিক স্টেট। মার্চে দামাস্কাসে তাহির আল শাম জঙ্গিদের গাড়ি-বোমা হামলায় প্রাণ হারান ৭৫ জন। এপ্রিলে আলেপ্পোতে মোটর বোমা বিস্ফোরণে ১২৬ জনের মৃত্যু হয়।
কাবুলে গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণ: ১০ জানুয়ারি কাবুলের প্রাণকেন্দ্রে একটি গাড়ি-বোমা বিস্ফোরণে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়, আহত হন ৭০ জন। হামলার দায় স্বীকার করে তালিবান। জঙ্গিদের টার্গেট ছিল সরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি। এবছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ আফগানিস্তানেরই কান্দাহারে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের বোমায় ১১ জনের মৃত্যু হয়। যাঁদের মধ্যে পাঁচজন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কূটনীতিবিদ। মার্চ মাসে কাবুলে তালিবান হামলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই মাসেই কাবুলের সেনা হাসপাতালে বন্দুকবাজের হামলায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এটাও আইএস-এর কীর্তি। এপ্রিলে আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশে তালিবান জঙ্গিদের হামলায় ২৫০ আফগান সেনা নিহত হয়।
মালিতে ন্যাটোর সেনাঘাঁটিতে হামলায় মৃত ৭৮: এক নয়, একসঙ্গে পাঁচ ফিদায়েঁ জঙ্গির হামলায় কেঁপে ওঠে মালির গাওতে অবস্থিত ন্যাটোর সেনাঘাঁটি। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে মারা যান ৬৫ জন, পরে সংখ্যাটা আরও বাড়ে। তবে ন্যাটো সেনার কোনও ক্ষতি হয়নি। হামলার দায় নেয় আফ্রিকার কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন।
মোগাদিসুতে গাড়ি-বোমা হামলা: বছরের নানা সময়ে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে সোমালিয়ার মোগাদিসু। ২৫ জানুয়ারি আল শাবাব জঙ্গিদের হামলায় সেখানে প্রাণ হারান ৩২ জন। ফেব্রুয়ারিতেও এক পৃথক হামলায় ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
লাহোরে আত্মঘাতী হামলা: পাকিস্তানের লাহোরে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়। একটি প্রতিবাদ মিছিলের ভিতর ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালায় জামাত-উল-অহরর জঙ্গি গোষ্ঠী। এই মাসেই সেহওয়ানের একটি মসজিদে ৯১ জনের মৃত্যু হয়। ইসলামিক স্টেট হামলার দায় স্বীকার করে।
কানপুর হামলার মূলচক্রী গ্রেপ্তার: কানপুর রেল বিপর্যয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে নেপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আইএসআই চর শামসুল হুডাকে। বিহার পুলিশের অনুমান, গতবছরের নভেম্বরে কানপুরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এরই হাত রয়েছে। এই দুর্ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পূর্ব চম্পারণ থেকে আগেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুবাইবাসী পাকিস্তানি চর কাঠমান্ডুতে পা রাখতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কানপুর দুর্ঘটনা-সহ আরও দুটি কেসের ক্ষেত্রে এটি বড় সাফল্য হিসেবেই ব্যাখ্যা করেন এনআইএ গোয়েন্দারা।
মধ্যপ্রদেশ পুলিশের জালে ১১ পাকিস্তানি চর: মধ্যপ্রদেশে ফাঁস বড়সড় পাক গুপ্তচর চক্র৷ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ১১ পাক চর৷ এই ঘটনায় নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি৷ পুলিশ সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা তল্লাশি চালিয়ে ভোপাল, গোয়ালিয়র, জব্বলপুর ও সাতনা জেলা থেকে ১১ জন পাকিস্তানি গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করে। ওই গুপ্তচর চক্র বহুদিন ধরে রাজ্যে সক্রিয় ছিল বলে জানান এটিএসের ইন্সপেক্টর জেনারেল সঞ্জীব শামী। বলরাম নামের এক ধৃত এই চক্রের পাণ্ডা। ধৃতরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য পাকিস্তানের কাছে পাচার করত৷
লন্ডনে হামলা: ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে ৫ জনকে হত্যা ও ৪৯ জনকে পিষ্ট করে ৫২ বছরের খালিদ মাসুদ। তাকে ঘটনাস্থলেই গুলি করে হত্যা করে নিরাপত্তারক্ষীরা। ইসলামিক সন্ত্রাসের ভাবধারায় দীক্ষিত মাসুদের সঙ্গে অবশ্য জঙ্গিদের সরাসরি কোনও যোগ মেলেনি।
উত্তরপ্রদেশে পুলিসের গুলিতে মৃত সইফুল্লা: ভারতে সম্ভবত প্রথম আইএস হামলা। টানা ১২ ঘণ্টা সাঁড়াশি আক্রমণ চালিয়ে জঙ্গি সইফুল্লাকে খতম করে উত্তরপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ওই জঙ্গিই মধ্যপ্রদেশে উজ্জয়িনী-ভোপাল এক্সপ্রেসে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ওই বিস্ফোরণে জখম হন ৯ জন। উত্তরপ্রদেশ পুলিসের প্রবীণ আধিকারিক দলজিৎ চৌধুরী জানান, সইফুল্লা এবং অন্য আটজন মিলে একটি গোষ্ঠী তৈরি করে। অনলাইনে তারা আইএস–এর হয়ে প্রচার চালাত।
তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি: তাজমহল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিল জঙ্গিরা। ইন্টারনেটে সন্ত্রাসী গতিবিধির উপর নজরদারি সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ জানায়, এক গ্রাফিক বার্তায় বিশ্বের আশ্চর্য এই মোঘল স্থাপত্যের সামনে দায়েশ জঙ্গিদের ধাঁচে পোশাক পরিহিত, কালো হেডগিয়ার-হাতে রকেট-প্রপেলড গ্রেনেড ও অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে এক জঙ্গির দাঁড়িয়ে থাকার ছবি দেখা গিয়েছে। গ্রাফিক্সের ইনসেটে তাজের একটি ছবি রয়েছে, যার মধ্যে লেখা ‘নয়া নিশানা’। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি মোটর ভ্যানের ছবি, যাতে আরবিতে লেখা ‘আগ্রা ইস্তেশাহাদি’। যার মানে আগ্রায় ফিঁদায়ে হানা।
মিশরের চার্চে ইসলামিক স্টেট জঙ্গি হামলা: তানতায় কপটিক চার্চে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের হামলায় ৩১ জনের মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশে অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’-এ নিকেশ ৪ জঙ্গি: নবাবগঞ্জ জেলার শিবনগরের একটি জঙ্গি ডেরা গুঁড়িয়ে দিতে অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’ শুরু করেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। ওই অভিযানের শেষে নিহত হয় চার জঙ্গি। জঙ্গি আস্তানা ঘিরে অভিযান চালায় সোয়াট টিম।
সুকমায় মাওবাদী হামলা: সুকমায় মাওবাদী হামলায় নিহত অন্তত ২৫ সিআরপিএফ জওয়ান। ২৪ এপ্রিল ৩০০ মাওবাদীর একটি দল সেনার গাড়িতে হামলা চালায়।
দুই জওয়ানের মুণ্ডচ্ছেদ পাক সেনার: ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতা পাকিস্তানের। মাসের শুরুতেই বিনা প্ররোচনায় রকেট ও মর্টার হামলা চালিয়ে ২ জওয়ানকে হত্যা করল পাক সেনা। শুধু তাই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করে শহিদ দুই জওয়ানের মুণ্ডছেদ করে নিয়ে গেল পাক রেঞ্জার্স। ভারত এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে একে ‘নক্ক্যারজনক’ বলে উল্লেখ করেছে। এই ঘটনার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানায় সেনার নর্দার্ন কমান্ড।
দক্ষিণ লিবিয়াতে জঙ্গিদের হামলায় নিহত ১৪১ জনেরও বেশি সরকারি সেনার।
ম্যানচেস্টার এরিনা বম্বিং: মে মাসের সবচেয়ে বড় হামলা ম্যানচেস্টার এরিনা বম্বিং। সলমন নামের এক জঙ্গি পপস্টার আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে ঢুকে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। মারা যান ২২ জন, আহত হন ৫১২ জন।
কাবুলে: আফগানিস্তানের কাবুলের ডিপ্লোমেটিক কোয়ার্টারে গাড়ি-বোমা হামলায় ১৫০ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ৪১৩ জনেরও বেশি। জুন মাসে এক শোকযাত্রার মিছিলে হামলায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়। হামলার অভিযোগ তালিবানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে।
ফিলিপিন্সের ম্যানিলায় বন্দুকবাজের হামলায় নিহত ৩৪: গভীর রাতে ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় একটি হোটেল ও ক্যাসিনোতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে অন্তত ৩৪ জনকে হত্যা করল এক বন্দুকবাজ। ওই বন্দুকবাজকে নিজেদের সদস্য বলে দাবি করে ইসলামিক স্টেট। হামলায় প্রায় ৫৪ জন আহত হন।
কিমের হাইড্রোজেন বোমা: ষষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটাল উত্তর কোরিয়া। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ সামরিক আধিকারিকরা। উত্তর কোরিয়ায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ফলে ‘শক ওয়েভ’ তৈরি হয়। ‘রিখটার স্কেলে’ ওই কম্পনের মাত্র ৬.৩। দক্ষিণ কোরিয়ায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ছড়ায় আতঙ্ক। অনেকেই ‘বম্ব শেল্টারে’ আশ্রয় নেন।
লাস ভেগাসে ক্যাসিনোয় বন্দুকবাজের হামলা, মৃত্যুমিছিল: মার্কিন মুলুকের বন্দুকবাজের হামলা। পয়লা অক্টোবর রাতে লাস ভেগাসের এক ক্যাসিনোয় কনসার্ট চলাকালীন এলোপাথাড়ি গুলি চালায় এক বন্দুকবাজ। ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫৮ জনের। আহত হন ৫৪৬। জঙ্গি সন্দেহে বন্দুকবাজকে খতম করে পুলিশ। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস।
সোমালিয়ার ইতিহাসে নৃশংসতম জঙ্গি হামলায় মৃত অন্তত ২৭৬: রাজধানী মোগাদিসুতে ভয়াবহ ট্রাক বোমা বিস্ফোরণে মৃত ২৭৬। আহত তিনশোরও বেশি। পুলিশ এবং হাসপাতালের দাবি, আফ্রিকার ইতিহাসে এটিই ভয়াবহতম জঙ্গি হামলা। ব্যস্ত রাস্তায় ট্রাকে রাখা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, নিহতদের মধ্যে অনেকেরই দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। ফলে তাঁদের শনাক্ত করাও সম্ভব হয়নি। দেশে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ আবদুল্লাহি মহম্মদ।
৯/১১-এর ধাঁচে নাশকতার ছক বানচাল বাংলাদেশে: আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলার ধাঁচে বাংলাদেশে নাশকতার ছক এঁটেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু সময়োচিত হস্তক্ষেপের কারণে ভেস্তে যায় হামলার ছ্ক। বিমান নিয়ে ‘নাশকতার পরিকল্পনার’ অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার সাব্বির এমাম-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। র্যাবের দাবি, বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাত হানার পরিকল্পনা ছিল তাদের।
ম্যানহাটনে ‘জঙ্গি’ হামলা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন প্রিয়াঙ্কা: ম্যানহাটনে ভারী পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে রাস্তায় পথচারীদের পিষে মারে এক দুষ্কৃতী। ৮ জনের মৃত্যু হয়। কোয়ান্টিকোর শুটিংয়ের জন্য ৩১ অক্টোবর নিউ ইয়র্কে ছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তাঁর বাসভবন থেকে মাত্র পাঁচটি ব্লক দূরেই লোয়ার ম্যানহাটন যেখানে এই হত্যালীলা ঘটে যায়।
মিশরে নৃশংসতম জঙ্গি হামলায় মৃত ৩০৫: মসজিদে জঙ্গি হামলায় মিশরে মৃত ৩০৫। মৃতদের মধ্যে ২৭ জন শিশুও। আহত ১২৮ জন। মিশরের ইতিহাসে এই জঘন্যতম হামলার পিছনে যে জঙ্গিরা রয়েছে, তাদের বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। দেশের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি জঙ্গিদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে জঙ্গিদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। যার হিংস্রতা কল্পনাতেও আনতে পারবে না দোষীরা।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.