Advertisement
Advertisement
BJP

গুজরাটে ‘আপ’ রাখবে ছাপ?

বারের ভোটযুদ্ধ যথেষ্ট রংদার হয়ে উঠেছে আম আদমি পার্টির সুবাদে।

AAP a major force in Gujarat to recon with in Gujarat | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 3, 2022 1:11 pm
  • Updated:December 3, 2022 1:11 pm

গুজরাটের ভোট বহুদিন ধরে নিরামিষ, উত্তেজনা-বর্জিত, ফোড়নহীন। বিজেপি জিতে আসছে সিকি শতাব্দী ধরে। কংগ্রেস দ্বিতীয়। কিন্তু এবারের ভোটযুদ্ধ যথেষ্ট রংদার হয়ে উঠেছে আম আদমি পার্টির সুবাদে। কংগ্রেসকে হটিয়ে তারা হবে নতুন ‘রানার আপ’? বিশ্লেষণে রাজদীপ সরদেশাই

গুজরাটের এবারের নির্বাচন মোড়-ঘোরানো চিত্রনাট্যের সমতুল্য যেন-বা। কে জয়ী হবে, প্রায় নিশ্চিত। যেটা নিয়ে যাবতীয় আগ্রহ ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল, ‘রানার-আপ’ বা দ্বিতীয় স্থানে কে থাকবে। আর, এহেন জটিলতা তৈরি হয়েছে এই ভোটযুদ্ধে আম আদমি পার্টি (‘আপ’) ঢুকে পড়েছে বলে। এতদিন কী হত? গত সিকি শতাব্দীর প‌্যাটার্ন বলছে যে, এ যাবৎ বিজেপি মসনদ ধরে রাখত। আর, দ্বিতীয় স্থানাধিকারী কংগ্রেসের থেকে ৮-১০ শতাংশের ভোট-ব্যবধান থাকত। এবার? বিশেষজ্ঞদের মত, বিজেপি জিততে চলেছে। তবে ‘দ্বিতীয়’ কে হবে, কংগ্রেস না আপ, তা নিয়ে তুখড় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। মানে, গুজরাটের ভোট ঘিরে এতদিনের চলে আসা বিজেপি বনাম কংগ্রেসের ‘ডুয়োপলি’ ভাঙতে চলেছে। আপাতত দেখার, আপ তলে-তলে কতখানি জমি দখল করতে পারল, বা কংগ্রেসের পালের বাতাস কতখানি কাড়তে পারল!

Advertisement

সৌরাষ্ট্র থেকে দক্ষিণ গুজরাট (Gujarat)। তুলনায় পিছিয়ে-থাকা ও দরিদ্র বলে পরিচিত বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করতে-করতে ধক করে যেটা চোখে পড়ছে তা হল, বিজেপির গৈরিক পতাকা ও কংগ্রেসি তেরঙার মাঝে ঝাঁটা-শোভিত আপের পতাকা দোল খাচ্ছে বাতাসে। সন্দেহ নেই, ভারতীয় রাজনীতিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উত্থান উল্কাসদৃশ। আর, এটাও ঠিক যে, ঝুঁকিসম্পন্ন রাজনৈতিক পদক্ষেপ করতে তিনি পছন্দ করেন। ২০১৪ সালে, বারাণসীতে, নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন। হেরেওছিলেন। সেই হার ও ব্যর্থতার জেরে আপের অভ্যন্তরীণ মহলে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু অরবিন্দ কেজরিওয়াল হতোদ্যম হননি। দ্বিগুণ প্রতাপে ফিরে এসে দিল্লির বাইরেরও দখল নিয়েছেন- পাঞ্জাবে। এখন স্বপ্ন দেখছেন, গুজরাটে কিছু একটা করে দেখানোর। আপাত-দৃষ্টিতে মনে হতে পারে, গুজরাটে লড়তে যাওয়া হয়তো লঘু চিন্তার প্রতিফলন। বা, তিনি বড় বেশি উচ্চাভিলাষী। কিন্তু বাস্তবে কি তা-ই?

Advertisement

[আরও পড়ুন: দোহাই সিআর, আপনি আজ অন্তত দুর্ভাগ্যের সন্তান হবেন না]

আসুন, খতিয়ে দেখা যাক। তবে সেই বিশ্লেষণে প্রবেশের আগে পাঠককে স্মরণ করিয়ে দিই যে, গুজরাটের
ভোট-রাজনীতি আদৌ পাঞ্জাবের মতো নয়। গোত্রগত তফাত আছে। পাঞ্জাবে নিয়ম করে পাশা-বদলের ঐতিহাসিক নজির আছে। একবার আকালি দল তো আর-একবার কংগ্রেস ক্ষমতা দখল করে। অথচ গুজরাটে বিজেপি গত ২৫ বছরে হারের স্বাদ চাখেনি। বিধানসভা তো অনেক বড় ব্যাপার, মিউনিসিপাল ভোটে অবধি হারেনি। এমন টানা ও অবিসংবাদী ভঙ্গিতে ক্ষমতা ধরে রাখার সঙ্গে তুলনীয় হতে পারে একদা পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থীদের গদিতে থাকার ঘটনার। বিজেপির যে হিন্দুত্ববাদী মৌল ন্যারেটিভ, গুজরাট তার সার্থক ল্যাবরেটরি। শুধু তা-ই নয়, এটি এমন একটি প্রদেশ বা বলব রাজনৈতিক পরিসর, যেখানে রাজনীতি, ধর্ম এবং নাগরিক সমাজ আশ্চর্য রসায়নে পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে ‘হিন্দু মিনি-রাষ্ট্র’ রূপে প্রতিভাত হয়েছে। আর, নরেন্দ্র মোদি (Narendraa Modi) সে-ই প্রদেশের ভূমিপুত্র, দাপটে যিনি সিংহতুল্য, ব্যক্তিত্বের বিচ্ছুরণে যিনি ঈশ্বরপ্রতিম।

আবার এটাও পাঠকদের বলব খেয়ালে রাখতে যে, গুজরাটে রাজনৈতিক বিরোধিতার মহল্লাটি অনেক বেশি প্রসারিত ও উন্মুক্ত। কংগ্রেস এই রাজ্যে কম-বেশি ৪০ শতাংশ ভোট-শেয়ার ধরে রেখেছে বহুদিন। সময়ান্তরে, অন্যান্য রাজ্যে কংগ্রেসের ভোট শতাংশ কমছে। এমনকী, গুজরাটের পাশের রাজ্য মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সংগঠনে ক্ষয় ধরেছে। কিন্তু গুজরাটে এর কোনও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া প্রতীয়মান নয়। তার মানে এই নয় যে, কংগ্রেস আশানুরূপ ফল প্রতিবার করতে পেরেছে। একটি উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে। ১৯৮৫ সালে ১৮২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস দখল করেছিল ১৪৯টি আসন। প্রায় ৫৫ শতাংশ ভোট-শেয়ার। অথচ পাঁচ বছর পরে সে-ই কংগ্রেস পেল ৩৩টি আসন। ভোট-শেয়ার নেমে এল ৩০ শতাংশে। কারণ আর কিছুই নয়। একের-পর-এক আত্মঘাতী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক খেয়োখেয়ি, খানিকটা-বা আত্মতুষ্টিও। কিন্তু এরপরেও যেটা বুক ঠুকে বলা যেত যে, বিজেপির মোকাবিলায় আর কোনও দল গুজরাটে সেভাবে খাপ খুলতে পারেনি- কংগ্রেস ছাড়া।

চলমান সেই প্রবাহের ভিতর থেকে এবার দ্বীপের মতো মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে কি আপ? গুজরাটের উদীয়মান নব্য-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মননে সিঁধ কাটতে চাইছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। তৎসহ, তারা প্রশ্ন রাখছে যে, দেশজুড়ে বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধী শক্তি রূপে কংগ্রেস কি যথাযথ দায়িত্ব পালনে সমর্থ? আপের ভাষ্য হল, না। কংগ্রেস পারছে না। সুরাট বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটি। সেখানকার সংখ্যালঘু ভোট কংগ্রেসকে পুষ্ট করে। আপ এখন সেখানে থাবা মারতে চাইছে। আবার, ডাঙ জেলার দলিত ভোটে কংগ্রেসের যে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ ছিল, তা-ও করায়ত্ত করতে সচেষ্ট তারা। উভয় ক্ষেত্রেই কংগ্রেসের দিকে সমালোচনার তির দাগছে এই মর্মে যে, বিজেপিকে ঠেকাতে এই শতাব্দীপ্রাচীন যথেষ্ট তাকতবর নয়, নয় গোছানো ও সাংগঠনিকভাবে সুচারু।

এতটা পড়ে এমন ভাবার কারণ নেই, আপ শুধু সংখ্যালঘু ও দলিত ভোটের পানেই লালায়িত। তারা হিন্দুত্বের ঢাক পেটাতেও কসুর রাখছে না। ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী ও গণেশের ছবি রাখার প্রস্তাব তারা দিয়েছে কেন? সহজ উত্তর। গুজরাটে হিন্দুত্বের ধার ও ভারের কথা তাদের অজানা নয়। ফলে, হিন্দুত্বের তাস খেলতে তাদের বিন্দুমাত্র সংকোচ নেই। হতে পারে, তা বিজেপির হিন্দুত্ববাদী ন্যারেটিভের মতো উগ্র, একপেশে বা উচ্চগ্রামের নয়। কিন্তু হিন্দুত্বের অন্তঃসলিলা ধারায় নমনীয় গণ্ডূষে জল ঢালতে বাধা কোথায়? এতে বিজেপির থেকে খানিক পৃথক হওয়া গেল। বিরোধিতা ও সমালোচনার দরজা খোলা থাকল। আবার, ভোটের বাজারে আখের নিশ্চিত করার দিকেও ঝাঁপানো গেল। ভাবসাব দেখে এক-এক সময় মনে হতে পারে- আপ আগুন নিয়ে খেলছে না তো! কিন্তু বিলকিস বানো-র ধর্ষকদের মুক্তিপ্রাপ্তিতে যখন বিজেপি-বিরোধী অন্য দলগুলি উচ্চকণ্ঠ, তখন আপ কেন ও কী করে অখণ্ড নীরবতা ধরে রাখতে পারছে, ভাবলে প্রথমে বিস্ময় জাগে, তারপর মনে হয়, এটি হয়তো-বা ভোটকেন্দ্রিক রাজনৈতিক প্রকৌশলেরই অংশ।

গুজরাটের আর্থিকভাবে অসচ্ছল শ্রেণির যারা মনে করে ‘গুজরাট মডেল’ প্রদীপের তলার অন্ধকার চাপা দিতে পারেনি, সেই বিক্ষুব্ধ জনতাকে ‘আপ’ অফার করছে নানাবিধ প্রতিশ্রুতি। বেকারি থেকে মুক্তি, বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রভৃতি। তরুণ প্রজন্মের মন জিততে তারা সংবেদী ও দরদি ভাবমূর্তি মেলে ধরতে চাইছে। যাতে এদের ভোট কংগ্রেসে না-পড়ে আপের ঝুলিতে পড়ে।

কাজটি, বলা বাহুল্য, সোজা নয়। ২০১৭ সালে আপের ২৯ জন প্রার্থীর প্রত্যেকে হেরেছিলেন। জমানত জব্দ হয়েছিল বললে আরও ভাল করে দুরবস্থার ছবিটি আঁকা যায়। সেই জায়গা থেকে আপ এখন স্বপ্নসন্ধানী, কংগ্রেসকে টক্কর দিতে! গুজরাটে কংগ্রেসের তরফে তেমন মুখ কই, যিনি মানুষের মনে অবিমিশ্র আশার সঞ্চার ঘটাবেন? দুঁদে রাজনৈতিক মস্তিষ্ক নেই বলেই না সংগঠনে ভাঙনের রেখাগুলি পড়তে পারা যাচ্ছে। তা-ও বলব, গুজরাটে কংগ্রেসের রেকর্ড রাতারাতি মুছে যাওয়ার নয়। ২০১৭ সালে গ্রামাঞ্চল ও প্রান্তিক ভূমিতে কংগ্রেস হারিয়ে দিয়েছিল বিজেপিকে। কিন্তু নগর ও আধা-শহরে বিজেপির পাকড় পোক্ত থাকায়, শেষ হাসি আর তাদের হাসা হয়নি।

এটা ঠিক যে, আপের উপস্থিতি সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাটে যতখানি দৃশ্যমান- মধ্য ও উত্তরভাগে আপ-কে তেমনভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ভোটের ময়দানে লড়াই করার মানসিকতাও একটা বড় ফ্যাক্টর। চোখে চোখ রেখে আগুন ফিরিয়ে দিতে যে পারে, সে মানুষের মনে দাগ কাটতে পারে। সেদিক থেকে বিচার করলে, আপ কিন্তু কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক। মোদির নেতৃত্বে বিজেপি যেরকম অপ্রতিরোধ্য রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে আ-ভারতব্যাপী, তার প্রেক্ষিতে কংগ্রেস ধারাবাহিকভাবে কতটা আগ্রাসী ভাবমূর্তি দেখাতে পেরেছে? ২০১৭-র পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ জনেরও বেশি কংগ্রেসি নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সংগঠনের পক্ষে এটা সুখবর নয়। এই দলবদলের ফল কত-কত কংগ্রেসি সমর্থকের বুকে শেলের মতো বিঁধেছে, সে হিসাব কে রাখে? না বললেও চলে যে, অনুরাগীরা স্পষ্টত দিশাহীন হয়ে পড়ে এই ধরনের দল-পরিবর্তনের ঘটনায়, এবং তার দুরপনেয় ছাপ পড়ে ভোটের অঙ্কে। গুজরাতে শঙ্করসিং বাঘেলা-র উপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেসি সংগঠন ভীষণভাবে নির্ভরশীল ছিল। অথচ, তিনি প্রাক্তন বিজেপি নেতা। খাঁটি কংগ্রেসি নন। এর থেকে বোঝা যায়- কংগ্রেস নিজের জমিতে, নিজের দেওয়া সারে-জলে, নিজের শ্রমে, নিজের মতো করে ফুল ফোটাতে পারেনি।

এসব কারণেই আপ ক্রমশ হয়ে উঠেছে বিজেপির মাথাব্যথা। নির্বাচনী প্রচারের শেষ স্তরে বিজেপি যারপরনাই চেষ্টা করেছে আপকে অবহেলা করতে। প্রচারের আলো যাতে কোনওভাবে আপের উপর নিবদ্ধ না-হয়, তা সুনিশ্চিত করতে। আপ যদি কংগ্রেসের ভোট কাটতে পারে, কাটুক না। তাতে তো বিজেপির লাভ বই ক্ষতি নেই। কিন্তু বিজেপি এ-ও কি টের পাচ্ছে না যে, অদূর ভবিষ্যতে আপ গুজরাটের ভোট-মানচিত্রের আদল বদলে দিতে পারে! কংগ্রেসের সঙ্গে জুঝতে-জুঝতে বিজেপি আসলে বুঝে ফেলেছে কংগ্রেসি দুর্বলতার বিন্দুগুলি। কংগ্রেস মানেই পরিবারতন্ত্র, কংগ্রেস মানেই মুসলিম-ঘেঁষা, কংগ্রেস মানেই চুলচেরা আত্মসমীক্ষায় নারাজ, কংগ্রেস মানেই নব-নিরীক্ষায় অনাগ্রহী। এমন ভাবনা যে ভিত্তিহীন, তা-ও নয়। কিন্তু আপ? আদর্শ-আদর্শ করে তারা লাফায় কম। ‌‘লেস আইডিওলজিক্যাল ব্যাগেজ’ নিয়ে ভোটের ময়দানে নামে। আর এজন্যই তারা অনেক বেশি নমনীয়, গ্রহণ-বর্জন-ভাঙচুরের জন্য মুখিয়ে থাকা একটি ঝাঁজ-সমৃদ্ধ দল।

পুনশ্চ, গুজরাটিরা ফিল্মি সংলাপ ভালবাসে। ভোটের প্রচারে নাটকীয় ও মশলাদার সংলাপ পেলে তারিয়ে-তারিয়ে উপভোগ করে। আপের তরফে এবারের নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ইসুদান গড়ভি। পূর্বাশ্রমে নিউজ চ্যানেলের অ্যাঙ্কর ছিলেন। ক্রমে নেতায় উত্তীর্ণ। তা, একটি জনসভায় ইসুদান প্রবল উদ্দীপনায় গর্জে উঠে বলেছেন যে- ‌‘টাইগার অভি জিন্দা হ্যায়’। শুনে, জনতা উদ্বেলিত হয়, ফেটে পড়ে। ইসুদান গড়ভি লড়ছেন সৌরাষ্ট্রের কম্‌বলিয়া বিধানসভা থেকে। লড়াই মোটেও সহজ হবে না। কড়া দ্বন্দ্ব সামলাতে হবে তাঁকে। কিন্তু ফলাফলের পরোয়া না করে আত্ম-বিস্ফার ঘটিয়ে এই যে মানুষের মনে প্রভাব রাখার চেষ্টা করলেন ইসুদান- ঠিক এই জিনিসটাই বহুদিন ধরে অনুপস্থিত ছিল গুজরাটের ভোটে। রং, রস, গন্ধ হারিয়ে বহুদিন ধরে গুজরাটের ভোট-যুদ্ধ হয়ে পড়েছিল নিরামিষ, ফোড়নহীন ও ভয়ানক পূর্ব-নির্ধারিত। আপ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। হয়তো দু’-অঙ্কের আসন সংখ্যাতেই পারবে না পৌঁছতে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দলটি অন্য একটি কাজ ইতিমধ্যে করে দেখিয়ে দিয়েছে। কী সেটা? পোড়খাওয়া সিনিয়র একজন গুজরাটি সাংবাদিকের ভাষায় ‘থোড়ি সি জান’ তারা আমদানি করেছে। ভোটে জীবন যদি ঝকমকায়- কম কী!

[আরও পড়ুন: বৃহত্তম গণতন্ত্র পরিচালনার চাবিকাঠি এই সংবিধান কি আইনি নথি মাত্র?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ