Advertisement
Advertisement
New Tariff Plan

আমেরিকা কোন ভারতীয় পণ্যে শুল্ক চাপাবে? মৌনব্রতে কেন্দ্র

গাড়ির যন্ত্রাংশের উপর ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তে বিপন্ন বোধ করছে কানাডা।

Editorial on new Tariff Plan of Donald Trump

ফাইল ছবি।

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 29, 2025 9:00 pm
  • Updated:March 29, 2025 9:00 pm  

আমেরিকা কোন-কোন ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক চাপাবে তা জানা যাবে ২ এপ্রিল। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের মুখ না-খোলায় সংশয়ে বিরোধীরা।

ডোনাল্ড ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত সমস্ত আমদানি করা গাড়ির উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েই দিলেন। ছোট গাড়ি, ছোট ট্রাক ছাড়াও গাড়ির যন্ত্রাংশের উপর এই শুল্ক প্রযোজ‌্য। আমেরিকায় গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের জোগান আসে মূলত মেক্সিকো, কানাডা, জার্মানি, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে এই সবক’টি দেশই প্রবল ক্ষুব্ধ। তারা পাল্টা মার্কিন পণ্যের উপর চড়া হারে শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছে। গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানির উপর আমেরিকার এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হবে ৩ এপ্রিল থেকে। ভারতও আমেরিকায় গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ রফতানি করে। কিন্তু আমেরিকার গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশের বাজারে ভারতীয় কোম্পানিগুলির অংশীদারিত্ব খুবই কম।

Advertisement

কোন-কোন ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক চাপবে তা জানা যাবে ২ এপ্রিল। মার্কিন শুল্কের আশঙ্কায় উদ্বেগে ভারতের বণিকমহল। ভারত বিদেশের বাজারে যেটুকু পণ‌্য রফতানি করে, তার বড় অংশই যায় আমেরিকায়। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে আমেরিকার ঘাটতি রয়েছে। যে-যে দেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ‌্য ঘাটতি রয়েছে সেইসব দেশের পণ‌্য আমদানির উপর চড়া হারে শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন বাজারে পণ‌্য রফতানি উপর যাদের অর্থনীতি কিছুটা হলেও নির্ভরশীল, তারা প্রত্যেকেই ট্রাম্পের তুঘলকি কার্যকলাপে ক্ষতির আশঙ্কা করছে।

যেমন– গাড়ির যন্ত্রাংশের উপর ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তে বিপন্ন বোধ করছে কানাডা। কানাডা মনে করছে, মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্তে কানাডায় বহু কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। বহু লোক কাজ হারাবে। কানাডা হুমকি দিচ্ছে, তারাও ছেড়ে কথা বলবে না। একই প্রতিক্রিয়া জাপান ও জার্মান সরকারের। এই দু’-দেশের গাড়ি আমেরিকায় দাপিয়ে বেড়ায়। হঠাৎ তার বিক্রি কমে গেলে জাপান ও জার্মানির বহু গাড়ি কোম্পানি রুগ্‌ণ হয়ে যাবে। একই অবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রেও হতে পারে। তারাও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে।

এমতাবস্থায় ভারত সরকার কেন নিশ্চুপ রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংসদে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। তারা বলছে, ২ এপ্রিল অাসতে দেরি নেই, কিন্তু মোদি সরকারের কোনও সাড়াশব্দ নেই। বিষয়টি নিয়ে সরকার সংসদকে কিছু অবহিত করেনি। বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আলোচনাও করেনি। বিরোধীদের সমালোচনা, তারা জানতে পারছে না, সরকারের হাতে কোনও তাস রয়েছে কি না। সরকার সবাইকে অন্ধকারে রেখেছে। অথচ এই শুল্কের পরিণাম দেশের অর্থনীতির পক্ষে ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে।

এমনিতেই চাহিদার অভাবে দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে ধুঁকছে। তার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাণিজ‌্য ধাক্কা খেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে। এইসব ক্ষেত্রে সব দেশের সরকারই বিরোধীদের বিশ্বাসের জায়গায় নেয়। বিরোধীদের পরামর্শ গ্রহণ করে। পাল্টা কৌশল রচনা করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কেন্দ্রের উচিত দ্রুত এ ব‌্যাপারে যাবতীয় সংশয়ের নিরসন করা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement