যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত এপস্টিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ট্রাম্পের? বোমা ফাটিয়ে কোন ঝড়ের পূর্বাভাস দিলেন ইলন মাস্ক?
ডোনাল্ড ট্রাম্প যেদিন দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়ে তাঁর ওভাল অফিসে আসীন হলেন, সেদিনই প্রবল এবং আকস্মিক ঝটকাটি মারলেন তঁার বন্ধুবর ইলন মাস্ক। ডোনাল্ড ট্রাম্প যত ক্ষমতা আর সম্পদের অধিকারী হন না কেন, তিনি ওভাল অফিসের রীতিনীতি, ফরম্যালিটির শিকলে অাবদ্ধ। ইলন মাস্ক বুঝিয়ে দিলেন ট্রাম্পের ওভাল অফিসের চেয়ারে বসার প্রথম দিনেই, ৫১০ কোটি ডলারের মালিক ট্রাম্পের সঙ্গে ৪২ হাজার ৬০ কোটি ডলারের সুপার-কুবের ইলনের তফাতটা হল, তিনি ওভাল অফিসের সমস্ত শিষ্টাচার ও শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে– তঁার পোশাক থেকে শরীরের ভাষা– সবকিছুর মধে্যই ওভাল অফিসকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার গর্জিত ঘোষণা।
কঁাধে করে চার বছরের পুত্রকে নিয়ে ওভালে এলেন ইলন, যে-পুত্র ক্রমাগত নাক খুঁটতে লাগল ট্রাম্পের টেবিলের পাশে দঁাড়িয়ে, এবং আঙুল মুছতে লাগল ট্রাম্পের ক্ষমতার টেবিলে। এই দৃশ্য সারা পৃথিবী দেখেছে। এবং বুঝতেও পেরেছে, ট্রাম্প-ইলন বন্ধুত্ব বেশি দিন টিকবে না। ক্রমশ ‘ইগো’-র সমস্যা ও সমর হয়ে উঠবে অবশ্যম্ভাবী। এবং অচিরে চৌচির হবে সম্পর্ক। ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে থাবা, দঁাত, নখ! শেষ হবে মধুচন্দ্রিমা।
ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেই পেরেকের মাথায় হাতুড়ি মেরেছেন ইলন মাস্ক। একেবারে নিছক সতি্যকথার ঝামা ঘষে দিয়েছেন: ‘আমার সাহায্য ছাড়া ট্রাম্প নির্বাচনে জিততেই পারতেন না।’ এইভাবে নিজের টাকার হঁাড়ি হাটে ভেঙেছেন ইলন। তঁার ঢালাও অর্থ ছাড়া ট্রাম্পের পক্ষে দলের মনোনয়ন পাওয়াই সম্ভব হত না। কিন্তু এরপরে যে-কথাটি প্রকাশে্য আনলেন ইলন, তা ট্রাম্পের অবশিষ্ট ভাবমূর্তিতে নতুন অবমাননা যুক্ত করল। ইলন বলেছেন, “‘এপস্টিন ফাইল’ কেন এত দিন ধরে প্রকাশ হচ্ছে না, জানেন? কারণ ওই ফাইলে ট্রাম্পের নাম আছে।” ইলনের দাবি, নাবালিকা যৌন-কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযুক্ত এপস্টিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল ট্রাম্পের। এবং মামলার বিভিন্ন নথিতে এপস্টিন ট্রাম্পের উল্লেখ করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে
যৌন-কেলেঙ্কারির অভিযোগ আগেও উঠেছে।
মামলাও চলছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে সেসব মামলা স্থগিত। তবে নাবালিকার সঙ্গে সেক্স-কেলেঙ্কারির অভিযোগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আগে শোনা যায়নি। সেই ঝড়ের পূর্বাভাস ইলন মাস্কের কণ্ঠে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ‘ওঁর সঙ্গে আমার আর দারুণ সম্পর্ক থাকবে কি না জানা নেই। তবে আপাতত ওঁর বিষয়ে ভাবছি না।’ বেশি দিন ইলন মাস্ককে ভাবনার বাইরেও রাখতে পারবেন না ট্রাম্প। কারণ, ইলন মাস্কের সংস্থা ‘স্টার লিঙ্ক’ শেষ পর্যন্ত ভারত সরকারের অনুমতি পেয়ে ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে আসতে চলেছে এই স্পর্শকাতর সময়েই!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.