Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন কি, ভারতের কোন রাজ্যে সরকারি স্কুলের চেয়ে মদের দোকান বেশি?

ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যই আপাদমস্তক ডুব দিয়েছে নেশায়। রমরমিয়ে চলছে ড্রাগের ব্যবসা। এছাড়া, মদ-গাঁজার মতো তুলনামূলক নিরীহ নেশা তো রয়েছেই!

5 Facts About Drugs You Probably Didn’t Know
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 3, 2016 2:20 pm
  • Updated:June 3, 2016 2:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেশা সর্বনাশা!
কিন্তু, প্রশাসনই যখন মদত দেয় নেশায়? সেই অবস্থায় কী করার থাকতে পারে?
সম্প্রতি প্রশ্নগুলো উঠে এল উড়তা পাঞ্জাব ছবিকে কেন্দ্র করে। পাঞ্জাবের তরুণ প্রজন্মের নেশায় ডুবে থাকার অভ্যেসকে ছবিটা তুলে ধরেছে বলেই নয়। পাশাপাশি, ডোপনমিক্স নামের এক পরিসংখ্যানও চালিয়েছে সারা ভারত জুড়ে টিম উড়তা পাঞ্জাব।
আর, তাতেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব তথ্য। দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে শুধু পাঞ্জাবই নয়, ভারতের বেশির ভাগ রাজ্যই আপাদমস্তক ডুব দিয়েছে নেশায়। রমরমিয়ে চলছে ড্রাগের ব্যবসা। এছাড়া, মদ-গাঁজার মতো তুলনামূলক নিরীহ নেশা তো রয়েছেই!
আর, যে সব ক্ষেত্রে মানুষ নিজে থেকে নেশার দিকে যাচ্ছেন না, সেই সব ক্ষেত্রে তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে নেশার চক্করে পড়তে। দেশের অনেক খাবারের দোকানই ক্রেতার পাতে মিশিয়ে দিচ্ছে কোনও না কোনও মাদক।
দেশের এই ছবি নিয়ে কী বলছে ডোপনমিক্স?

পড়ায় নয়, মদে মন:

Advertisement

dopen4
ডোপনমিক্স বলছে, বিহার এবং পাঞ্জাবে যতকটা সরকারি স্কুল রয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি রয়েছে সরকার-অনুমোদিত মদের দোকান। এছাড়া অননুমোদিত মদের ব্যবসা তো রয়েছেই! তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াচ্ছে? শিক্ষা নয়, মদের বোতলটাই মিলবে হাতের নাগালে?

Advertisement

হাই-ফাই পরাঠা:

dopen3
পরাঠা বা পরোটা খেয়ে কি নেশা করা যায়? দেশের অনেক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই কিন্তু করে!
উঁহু! খেতে ভাল লাগে বলে নয়। ডোপনমিক্স বলছে, দেশের অনেক দোকানই না কি পরোটা বানাবার আগে, ময়দা মাখার সময়ে তার মধ্যে আফিম মিশিয়ে দেয়। তাতে স্বাদ যেমন বাড়ে, তেমনই ওই দোকানের পরোটা খাওয়াটা নেশায় দাঁড়িয়ে যায়। সম্প্রতি পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা সজাগ হয়েছে বটে বিষয়টা নিয়ে! দেরিতে হলেও! দেখা যাক, অন্যান্য রাজ্যের কবে হুঁশ ফেরে!

বাবলগামের নেশা:

dopen2
আমার-আপনার-সবারই এমন বন্ধু আছে, দিন-রাত যাঁর মুখে বাবলগাম দেখা যায়। তবে, সেই নেশার কথা কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে না।
আসলে, নেশার জিনিস যখন অবৈধ ভাবে বিক্রি করতে হয়, তখন তাকে অনেকগুলো নাম দেওয়া হয়। যেমন, গাঁজা না বলে তামাক বলা!
ঠিক সেই রকম ভাবেই দেশ জুড়ে কোকেনকে ডাকা হয় নানা নামে। বাবলগাম, বাজুকা, ব্যাটম্যান, হোয়াইট মসকিউটো, কোক- নামের অভাব নেই!
তাই এবার যদি আপনাকে কেউ বাবলগাম বিক্রি করতে চায়, কোনও নাইটক্লাবে বা রাস্তার মোড়ে, একটু তলিয়ে ভাববেন কিন্তু!

নেশার বিক্রিবাটা:

dopen5
জানেন কি, প্রতি বছরে নেশার জিনিস, বিশেষ করে হেরোইনের মতো ড্রাগের পিছনে কত টাকা খরচ করে ভারত?
৪৭৮৬ কোটি টাকা!
শুনে চোখ কপালে তুলবেন না! অবার হওয়ার কিছু বাকি আছে। এই বিশাল পরিমাণ টাকার অঙ্কটা আসে কেবল ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে। ডোপনমিক্স বলছে, শতকরা একশো জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৯০ জনই অন্তত একবার হলেও হেরোইন দিয়ে নেশা করতে চান!
কে বলেছে, ভারতের টিন-এজারদের হাতে টাকা থাকে না!

রোড-সাইড নেশা:

dopen1
ভারতের কয়েকটা রাজ্যে চালকরা নেশা করে গাড়ি চালাচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার বন্দোবসোত রয়েছে। তাতেও কিন্তু নেশা করে গাড়ি চালানো এবং দুর্ঘটনার সংখ্যা কমছে না।
এটা নেশার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির উদাহরণ? না কি সরকারি তরফে গাফিলতির?
উত্তর যা-ই হোক, ভারত কিন্তু নেশায় বুঁদ!

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ