সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মার্শাল’ কাণ্ডের জেরে এবার অভিনেতা বিশালের প্রোডাকশন কোম্পানিতে আইটি হানা। সম্প্রতি বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এই দক্ষিণী অভিনেতা। আর তারপরই তাঁর সংস্থায় আইটি হানা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
[ অভিনেতাদের বুদ্ধি কম, বিজেপি নেতার মন্তব্যে ক্ষিপ্ত ফারহান ]
সম্প্রতি মুক্তি মেয়েছে দক্ষিণী ছবি ‘মার্শাল’। যেখানে জিএসটি ও ডিজিটাল ইকোনমি নিয়ে কিছু সমালোচনা ছিল। তা নিয়েই আপত্তি তোলেন বিজেপি নেতারা। শেষমেশ ছবির ওই অংশটুকু বাদ দিতে হয়। তবে তাতে ছবির ব্যবসা আটকায়নি। বিতর্ক বরং শাপে বর হয়েছে। রমরমিয়ে চলছে সিনেমাটি। কিন্তু ছবি ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর পৌঁছেছে অন্য পর্যায়ে। সরকার যে সমালোচনা সইতে পারে না, এ নমুনা তুলে ধরতে মার্শালকেই হাতিয়ার করেছেন রাহুল গান্ধীরা। অন্যদিকে, এক বিজেপি নেতা মন্তব্য করেছিলেন আমাদের দেশের বেশিরভাগ অভিনেতারই বুদ্ধিসুদ্ধি কম। সাধারণ জ্ঞানও নিতান্ত সাধারণ। তা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন অভিনেতা ফারহান আখতার। বিজয়ের এই সিনেমা নিয়েই বিজেপি নেতার সঙ্গে বিতর্কে জড়ান বিশাল। বিজেপি নেতা এইচ রাজা জানিয়েছিলেন, ‘মার্শাল’ ছবিটি তিনি অনলাইনে দেখেছিলেন। বিশাল পালটা প্রশ্ন তোলেন, সদ্য মুক্তি পাওয়া একটা ছবি মন্ত্রী অনলাইনে দেখলেন কী করে? তাহলে তো তিনি পাইরেটেড ভার্সন দেখেছেন। যা সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করে না এবং বেআইনিও বটে। এ মন্তব্যের ঠিক পরেই তাঁর প্রযোজনা সংস্থায় হানা দেন আইটি আধিকারিকরা।
[ জানেন, ‘বাহুবলী’ প্রভাসের জন্মদিনে কী উপহার দিলেন ‘দেবসেনা’ অনুষ্কা? ]
আয়কর বিভাগের সূত্রে জানা যাচ্ছে তিন সদস্যের এক দল বিশালের সংস্থায় হানা দেয়। তাঁদের দাবি, বিভিন্ন ক্লায়েন্টের থেকে প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা টিডিএস কেটেছে বিশালের সংস্থা। সেই টাকা এখনও সরকারের খাতায় জমা পড়েনি। তাই আয়কর বিভাগ হিসেবনিকেশ খতিয়ে দেখছে। যে সময় আইটি আধিকারিকরা গিয়েছিলেন, তখন বিশাল ছিলেন না। তবে তদন্তকারী অফিসাররা বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখেন।
কিন্তু এ ঘটনা কি কাকতালীয়? বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলার ঠিক পরেই কেন অভিনেতার বিরুদ্ধে আইটি হানা? এ প্রশ্নই উঠছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই অভিনেতাকে বিপাকে ফেলা হচ্ছে মনে করছেন অনেকে।