শম্পালী মৌলিক: এরকম একটা ধারণা অনেকের মনেই কাজ করে, সন্ত্রাসবাদীরা অর্ধশিক্ষিত বলেই তাঁরা ধর্মের নামে হিংসার মুখে ফেলেন পৃথিবীতে। বাস্তব কিন্তু তা বলে না। মাঝে মাঝেই খবরের শিরোনামে উঠে আসে এমন অনেক মানুষের কথা যাঁরা উচ্চশিক্ষিত, উদারমনস্ক হয়েও সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেন। সেই তালিকাতেই কি এবার নাম উঠল টলিপাড়ার এক নায়িকার?

আসলে শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘ডার্ক চকোলেট’ ছবিটি করার পর আবারও সত্যি ঘটনা অবলম্বনে ছবি করতে চলেছেন অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে এবারে হিন্দি ছবি। বাংলাদেশের গুলশন-হত্যাকাণ্ড ছুঁয়ে শুরু হবে ছবির গল্প। অর্থাৎ ছবির টেক-অফ পয়েন্ট আর্টিজান রেস্তোঁরার জঙ্গি হানা। তার পর মূলত আইএসআইএস-দের পয়েন্ট অফ ভিউ উঠে আসবে এই ছবিতে। কারা বানাল আইএসআইএস? কী ভাবে দুনিয়া জোড়া সন্ত্রাস ছড়াল তারা? তাদের দৃষ্টিভঙ্গীই বা কী? এই প্রশ্নগুলোই মুখ্য বিষয় হয়ে ঘোরাফেরা করবে ছবিতে।

অগ্নিদেব তাঁর এই ছবির নাম রেখেছেন ‘জেহাদ’। ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন রোহিত রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজেশ শর্মা এবং ব্যোমকেশ-খ্যাত অভিনেত্রী-মডেল ব়্যাচেল হোয়াইট। কাল-পরশুর মধ্যেই কলকাতায় শুটিং শুরু হয়ে যাবে। পরবর্তী পর্যায়ে তুরস্ক, বার্সেলোনা, প্যারিস, এমনকী সিরিয়া সীমান্তেও শুটিংয়ের পরিকল্পনা রয়েছে পরিচালকের। অর্থাৎ সন্ত্রাসদীর্ণ জায়গাগুলোকে ছুঁয়ে যাবে এই ছবি।
পরিচালক জানিয়েছেন, একটা ফিকশনকে কেন্দ্র করে গল্প ছড়াবে। রোহিত রায় আর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থাকবেন ছবিতে স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়। আর, রোহিতের প্রাক্তন স্ত্রী যে মারা যাবে বাংলাদেশের জঙ্গি হানায়, সেই চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন কনীনিকা।

কিন্তু, কোন অভিনেত্রী তাহলে এই ছবিতে যোগ দিলেন জঙ্গি-দলে? তিনি ব়্যাচেল হোয়াইট! তাঁকে দেখা যাবে এক সিরিয়ান টেররিস্টের ভূমিকায়। এছাড়া আরও একটি সত্যি ঘটনা জুড়ে থাকবে ছবির চিত্রনাট্যে। বাংলাদেশে গুলশনের তারিশি জৈনের ঘটনা ছবিতে হুবহু না থাকলেও কিছুটা থাকবে।
প্রসঙ্গত, প্রচুর রিসার্চ ওয়ার্ক করতে হয়েছে পরিচালককে এরকম একটা পটভূমির নেপথ্যে ছবি বানানোর জন্য। সেই জন্যই ‘জেহাদ’ ছবিটির সিনেম্যাটোগ্রাফি করতে চলেছেন পরিচালক অগ্নিদেব নিজেই। যে দৃশ্যাবলী রয়েছে তাঁর চিন্তায়, নিজেই তা মূর্ত করবেন ছবির শরীরে।