সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বলিউডে শোরগোল ফেলেছিল অন্ধ্রের এক যুবকের দাবি। আর কারও নয়, খোদ বচ্চনবাড়ির বউকেই মা বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তাঁর কথামতো বিয়ের বহু আগেই সন্তানের মা হয়েছিলেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন। এহেন দাবির কারণেই এবার পুলিশি ব্যবস্থার মুখে পড়তে চলেছেন ওই যুবক।
[ ঐশ্বর্য রাই বচ্চনই তাঁর মা, বিস্ফোরক দাবি ৩০ বছরের যুবকের ]
সূত্রের খবর, অন্ধ্রের যুবক সংগীত কুমারের দাবির পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন ঐশ্বর্য। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে নায়িকার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে চলেছে ভাইজ্যাগ পুলিশ। বর্তমানে ওই যুবক ভাইজ্যাগেই আছেন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, অভিযোগ না আসা পর্যন্ত এ নিয়ে কিছু করার ছিল না। কিন্তু যেহেতু ঐশ্বর্য নিজে এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে এগিয়ে এসেছেন, ফলত এখন পুলিশ তার নিজস্ব কাজ করবে। তবে ওই যুবক যদি মানসিক ভারসাম্যহীন হয় বা কোনও বিশেষ ধরনের মানসিক রোগে আক্রান্ত হন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হবে। জানা যাচ্ছে, যুবকটি অন্ধ্রের এক বাস কন্ডাক্টরের ছেলে। সে রাজ্যের স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনেই চাকরি করেন তাঁর বাবা। পড়াশোনায় যুবকটি ভাল। তবে মদ্যপ বলে দুর্নাম আছে।
[ জন্মদিনেই কি শ্রীলঙ্কায় রণবীরের সঙ্গে বাগদান পর্ব সেরে ফেলবেন দীপিকা? ]
কিন্তু কেন তাঁর এরকম অদ্ভুত দাবি? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে যুবকটি জানিয়েছিলেন, ঐশ্বর্য রাই বচ্চনই তাঁর মা। আরাধ্যা ঐশ্বর্যর একমাত্র সন্তান নয়। আইভিএফ পদ্ধতিতে তাঁর জন্ম দেন নায়িকা। তখনও মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতেননি তিনি। সংগীতের দাবি সত্যি হলে ১৪ কিংবা ১৫ বছর বয়সেই মা হয়েছিলেন ঐশ্বর্য। মানসিক রোগ বিশেজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংগীতের এই দাবি অস্বাভাবিক নয়। এক বিশেষ রোগে আক্রান্ত হলে যে কেউ এরকম দাবি করতে পারেন। বিশেষ এই মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় Grandiosity। সংগীত সেরকম অসুখে আক্রান্ত বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। আপাতত ঐশ্বর্যর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৈরি ভাইজ্যাগ পুলিশ।
[ স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েই ফ্যানদের এই বার্তা দিলেন সোফিয়া ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.