Advertisement
Advertisement

‘কেদারনাথ’-এর মুক্তি আটকাতে সেন্সর বোর্ডকে চিঠি বিজেপি নেতার

মুখ্য চরিত্র হিন্দু নয় কেন, প্রশ্ন বিজেপি নেতার।

BJP leader demands ban on ‘Kedarnath’
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 11, 2018 8:25 pm
  • Updated:November 11, 2018 8:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সরকার’-এর পর এবার ‘কেদারনাথ’৷ ফের ছবি মুক্তি ঘিরে তোলপাড় দেশের রাজনীতি৷ মুক্তির আগে গেরুয়া শিবিরের রোষের মুখে সুশান্ত সিং রাজপুতের ‘কেদারনাথ’৷ হিন্দু ভাবাবেগে ক্ষুণ্ণ হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সেন্সর বোর্ডের কাছে চিঠি লিখে ‘কেদারনাথ’ ছবি নিষিদ্ধ করার দাবি তুললেন বিজেপি নেতা অজেন্দ্র অজয়৷ বিজেপি নেতার অভিযোগ, পরিচালক অভিষেক কাপুর ও অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত তাঁর সিনেমা ‘কেদারনাথ’-এ হিন্দু ধর্মের ভাবাবেগে আঘাত করেছে৷ শুধু তাই নয়, ছবিতে ‘লাভ জেহাদ’কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে৷

[নিক-প্রিয়াঙ্কার বিয়েতে বরযাত্রী কারা জানেন?]

২০১৩ সালে কেদারনাথের ভয়াবহ বন্যার প্রেক্ষাপটে হিন্দু ও মুসলিম যুবক-যুবতীর প্রেমকাহিনিই তুলে ধরেছেন পরিচালক অভিষেক কাপুর। আর এই বিষয়টি নিয়েই আপত্তি তুলেছেন কেদারনাথের পুরোহিতরা। তাঁদের দাবি, ছবির বিষয়বস্তু হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তাই ছবির মুক্তি যেন নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়৷ স্থানীয় পুরোহিতদের আরও তাঁতিয়ে তুলেছে কেদারনাথের বিজেপির মিডিয়া কর্মীরা৷ ছবির বিতর্কিত অংশ পোস্ট করে লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে, যাতে বিতর্ক আরও উসকে দেওয়া যায়৷ ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ড বিজেপির তরফে ছবি মুক্তি রুখতে তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ সেন্সর বোর্ডকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো-সহ স্থানীয় পুরোহিতদের একছাতার নিচে এনে বিক্ষোভের আগুন জ্বালাতে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে বিজেপি৷

Advertisement

[‘সাজিদ বলেছিল, তুমি আত্মহত্যা করবে’, বিস্ফোরক নীহারিকা]

Advertisement

তবে, ছবি মুক্তি ঘিরে বিজেপির তরফে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করা হলেও প্রথম ঝলকেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ‘কেদারনাথ’-এ সারা আলি খান। ইতিমধ্যেই সিনেপ্রেমীদের মন ভরিয়েছে ছবির টিজার। কিন্তু ‘কেদারনাথ’ না-পসন্দ মন্দির শহরের পুরোহিতদের। ‘কেদারনাথ’ বন্ধ করার দাবি তুলে ছবির নির্মাতাদের রীতিমতো হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

[সিনেমা হলে কংগ্রেসের সভা, বাতিল ‘ঠাগস অফ হিন্দোস্তান’-এর শো]

এর আগে সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘পদ্মাবত’ ছবি বন্ধের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। রাজস্থান থেকে মহারাষ্ট্র, একাধিক রাজ্যে সেটে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছিল কর্ণি সেনার সদস্যরা। প্রতিবাদ সরব হয় রাজপুত সম্প্রদায়ের মানুষ। হুমকির মুখে পড়তে হয় ছবির নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিংকেও। চাপের মুখে শেষমেশ বদলে ফেলা হয় ছবির নামও। পিছিয়ে যায় ছবি মুক্তির দিনও। লাগাতার প্রতিবাদের পরও অবশ্য মুক্তি পায় ছবিটি এবং বক্স অফিসে বাজিমাতও করে।

[জানেন, বিয়ের আগে কীভাবে নিজেকে সুস্থ রাখছেন দীপিকা?]

কেদারনাথের কেদার সভার চেয়ারম্যান বিনোদ শুক্লা বলেন, “ছবিটি লাভ জেহাদের পক্ষে সুর চড়িয়েছে। ফলে তা হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তাই এই ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা না জারি হলে প্রতিবাদের রাস্তায় হাঁটব আমরা।” ইতিমধ্যেই স্থানীয় পুরোহিতরা এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর। রুদ্রপ্রয়াগে একটি প্রতিবাদ মিছিলও হয়ে সম্প্রতি৷ রাজ্য বিজেপি নেতা অজেন্দ্র অজয়ও জানান, সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রসূন জোশীকেও ছবিটি ব্যান করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তাঁর মতে, যে ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে প্রেমকাহিনি তুলে ধরাকে কোনওভাবেই সমর্থন করা যায় না। যদিও ছবির একটি গানের দৃশ্য কেদারনাথ মন্দিরের কাছেই শুট করা হয়েছিল। সে সময়ও শুটিং বন্ধের দাবি তুলেছিলেন পুরোহিতরা। এবার ছবির মুক্তি রুখতে আসরে নেমেছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ