Advertisement
Advertisement

লকডাউনে নেই কাজ, পেটের দায়ে দিল্লিতে ক্যাব চালাচ্ছেন ‘ইয়ে শালি আশিকি’ ছবির অভিনেতা

মুম্বইয়ের থিয়েটারজগতে তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা।

Actor Kamal Rexwal is driving cab at Delhi during lockdown
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 18, 2020 3:08 pm
  • Updated:June 18, 2020 11:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দু’মাসের বেশি সময় হলে গেল বন্ধ হয়েছে শুটিং। লকডাউনের জেরে বাতিল হয়েছে একাধিক প্রজেক্ট। নামী তারকাদের এই পরিস্থিতিতে জীবনযাত্রার খুব একটা হেরফের না হলেও অনেক শিল্পীরই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। টেকনিশিয়ানদের পাশে এই সময় দাঁড়িয়েছে অনেক সংস্থা, অনেক তারকা। কিন্তু অনেক অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সামনে সেই পথ খোলা নেই। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর মতো নেই কেউ। অথবা তাঁরাই সাহায্যে হাত পাততে চাননি। তাই লকডাউনের মধ্যে রোজগারের তাগিদে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন তাঁরা। এমনই একজন ‘ইয়ে শালি আশিকি’র অভিনেতা কমল রেক্সওয়াল (Kamal Rexwal)।

কমল ফিল্মদুনিয়ায় খুব একটা পরিচিত নন। ‘ইয়ে শালি আশিকি’ ছাড়া বলিউডে আর কোনও ছবিতে তিনি অভিনয় করেননি। কিন্তু থিয়েটারের জগতে তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। প্রচুর থিয়েটারে অভিনয় করেছেন তিনি। করোনা সংক্রমণ রোধে মার্চ মাসে শুরু হয় লকডাউন। তার কিছুদিন আগে থেকেই বলিউড শুটিং বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। বন্ধ থিয়েটারও। কাজ না থাকায় দিল্লিতে, নিজের বাড়ি ফিরে যান কমল। কিন্তু সেখানে গিয়েও তো মুশকিল। কাজ নেই। পকেট ফাঁকা। তাই পেটের দায়ে দিল্লির রাজপথে ক্যাব চালানোর কাজ নিলেন তিনি।
এভাবেই চলছিল। পরিচিত মুখ না হওয়ায় তাঁকে কেউ চিনতেও পারেননি। কিন্তু সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কর্মী তাঁকে দেখে চিনতে পারেন। তখনই কমল জানান, লকডাউনে কাজ বন্ধ। তাই দৈনন্দিন খরচ চালাতে তিনি ক্যাব চালানোর কাজ বেছে নিয়েছেন। রোজ এভাবেই যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন তিনি। এতে অন্তত পেটে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত পড়ে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: সুশান্তের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ৫টি ডায়েরি, বান্দ্রা থানায় বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা ]

শুধু কমল রেক্সওয়াল নন, এমন অবস্থা অনেক বলিউড অভিনেতার। কিছুদিন আগে খবরে এসেছিল সোলাঙ্কি দিবাকরের কথা। পেটের দায়ে মুম্বইয়ের রাস্তায় ফল বিক্রি করছেন তিনি। সোলাঙ্কি জানান, লকডাউন ক্রমাগত বাড়ছে। পরিস্থিতি যা, তাতে আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। কিন্তু তাঁকে তো বাড়িভাড়া দিতে হবে। পরিবারের খরচও জোগাতে হবে। তাই কার্যত বাধ্য হয়ে ফল বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। ওখলা মান্ডি বাজারের কাছে রোজ পসরা সাজান সোলাঙ্কি। প্রতিদিন ভয় নিয়েই কাজ করতে বের হন। যদি লকডাউন ভাঙার দায়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ? কিন্তু ভেবেও তো কিছু করার নেই। কিন্তু কীই বা করবেন? সোলাঙ্কি বলেছেন, ‘যদি করোনা প্রাণ না নেয়, পেটের খিদে নেবে।’

Advertisement

[ আরও পড়ুন: এবার ভারতীয় সংগীত পরিচালকের গান ‘চুরি’, ফের বিতর্কে নোবেল ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ