Advertisement
Advertisement

করোনা যুদ্ধে অকুতোভয় নাইজেল, পুলিশ ও জরুরি পরিষেবার গাড়ি জীবাণুমুক্ত করছেন অভিনেতা

প্রয়োজন পড়লে হাসপাতালে ঢুকেও স্যানিটাইজের কাজ করার ইঙ্গিত নাইজেলের।

Actor Nigel Akkara sanitized vehicle of police and emergency service
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 17, 2020 3:12 pm
  • Updated:April 17, 2020 4:54 pm

শম্পালী মৌলিক: উত্তরণ বোধহয় একেই বলে। জীবনের মূলস্রোতে ফেরার জন্য নাইজেল আকারা একসময় বেছে নিয়েছিলেন মঞ্চ। ‘বাল্মিকী প্রতিভা’ থেকে ‘মুক্তধারা’- অভিনেতা নাইজেল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন সিনেমা-দর্শকের মনে। তারপর ‘রাজকাহিনী’ ও ‘গোত্র’র মতো ছবিতে পাওয়া যায় তাঁকে। ‘গোত্র’র সেই তারেক আলি এবার রাস্তায় নেমেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে যখন জনজীবন প্রায় স্তব্ধ, লকডাউনের জন্য ও সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ যখন রাস্তায় নামছে না, তখন নাইজেল রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, বাজার ইত্যাদি স্যানিটাইজ / স্টেরিলাইজ করতে নিজেই পথে নেমেছেন। তাঁর সংস্থা এই কাজ লকডাউনের আগে থেকেই করছে। কিন্তু এবার একেবারে স্বেচ্ছায়। সাধারণ মানুষের সাহায্যার্থে কাজ করার ইচ্ছা থেকেই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন অভিনেতা। সঙ্গে পেয়েছেন তাঁরই সংস্থার কয়েকজনকে।

এর আগে পর্যন্ত সেলিব্রিটিদের অর্থ সাহায্য করতে বা খাবার দিয়ে মানুষকে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এমন ঝুঁকি নেওয়ায় এক নাইজেল ছাড়া আর তেমন কোনও দৃষ্টান্ত নেই। মোবাইলে নাইজেল বললেন, “সুরক্ষা ব্যবস্থা করেই বেরোচ্ছি। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি, যদি হাসপাতালে ঢুকতে হয় পিপিই পরে ঢুকব। আর কাজ সেরে নিজেদের স্যানিটাইজ করছি। মানুষের সঙ্গে দূরত্বও বজায় রাখছি। সব নিয়ম মেনেই কাজ করছি। আমার কয়েকজন ভল্যান্টিয়ার কর্মী সঙ্গে থাকছেন। কাজের পর আমরা নিজেদের মেশিন এবং গাড়ি জীবাণুমুক্ত করি। গত সপ্তাহে বিধাননগরের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ করেছি। বহু বছর ধরে এই কাজটা আমি করছি। মূলস্রোতে ফেরার জন্য এই কাজ দিয়েই নতুনভাবে জীবন শুরু করেছিলাম। আগে বাড়ি বা ডকের কনটেনার জীবাণুমুক্ত করতাম। লকডাউনের সাতদিন আগে থেকে বাড়ি বা অফিসে কাজ পেয়েছিলাম। ফলে কেমিক্যালের স্টক ছিল। এবার সেটা মানুষের কাজে লাগছে। পুলিশের গাড়ি ও জরুরি পরিষেবার গাড়ি জীবণুমুক্ত করেছি।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘ভার্চুয়াল ডেট’ থেকে আয় করা টাকায় ৩০০ দুস্থ পরিবারকে খাওয়াবেন অর্জুন কাপুর ]

এই সংকটময় পরিস্থিতিতে হঠাৎ রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? নাইজেল বললেন, “আমি একটা জিনিস বুঝি। সবার জীবনে জিরো পয়েন্ট থাকে। আমরা সেখান থেকে উঠি। কখনও লোকে কোথাও স্থবির হয়ে যায়। তাকে যে আবার ওই জিরো বা শূন্যতে ফিরে আসতে হবে না, এমন গ্যারেন্টি কেউ দিতে পারে না। আগে আমি নিজে তিন-চারমাস অন্তর কোনও বড় কাজ করতাম স্টাফেদের সঙ্গে। এই মুহূর্তে আমরা এমার্জেন্সি সিচুয়েশনে। কাজেই এগিয়ে আসতেই হবে। গুণগত ব্যবস্থা নিয়ে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা উচিত। আমার স্টাফেদের বেতন দিতে হবে। তাঁদেরও তো পরিবার আছে। আর্থিকভাবে কতটা সাহায্য করতে পারব জানি না। কিন্তু আমি মাঠে নেমে কর্মীদের মোটিভেট করতে পছন্দ করি। যাঁরা এই সময় রাজি হয়েছেন এই কাজটা করতে, তাঁরা সঙ্গে আছেন। এখন কাউকে জোর করা যায় না। কারণ রিস্ক ফ্যাক্টর আছে। এখন আরও অনেকে এগিয়ে আসছেন। তিন চারজন হলেই আপাতত কাজ হয়ে যাচ্ছে।” এইভাবে জীবনের করোনা যুদ্ধ জয় তথা করোনা বিপর্যয় অতিক্রান্ত হওয়ার আশা রাখছেন নাইজেল আকারা। অপেক্ষা এবার করোনা মুক্ত বিশ্বের।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: মানবিক আয়েশা, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য পাঁচতারা হোটেলের দরজা খুলে দিলেন অভিনেত্রী ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ