সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন গত ডিসেম্বরেই। তবে মাস দুয়েক পেরলেও এখনও যে রিসেপশন পার্টিটাই দেওয়া হয়ে ওঠেনি সৃজিত-মিথিলার! বিয়ের দিন দুয়েক পরই মিথিলা চলে গেলেন জেনিভায়। আর এদিকে ‘মুখুজ্জ্যেবাবু’ তো ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ‘ফেলুদা ফেরত’ ওয়েব সিরিজের কাজ নিয়ে। তাই শেষমেশ ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিয়ে সারলেও প্রীতিভোজ কিন্তু বাকিই রয়ে গিয়েছিল। ওদিকে বন্ধুরাও ভূরিভোজের আবদার জানিয়েছিল ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’ মুখুজ্জ্যেকে। তাই ফেলুদার শুটিং যখন আপাতত শেষ। আর ওদিকে মিথিলাও খানিক ছুটিতে। এবার আইনি সইসাবুদের এতদিন বাদে রিসেপশনের আয়োজনটা করেই ফেললেন টলিউডের সেলেব দম্পতি।
আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি নবদম্পতির রিসেপশন। বিয়ের মতোই রিসেপশনের বিষয়টাতেও খানিক চমকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হল না! তা সেই রিসেপশনের আসর বসছে কোথায়? শোনা গেল, তিলোত্তমার খানদানি হোটেল রাজকুটিরেই হচ্ছে সৃজিত-মিথিলার রিসেপশন পার্টি। নিমন্ত্রনপত্রেও একেবারে অভিনবত্বের ছোঁয়া। এখানেও পরিচালক মশাই সিনেমাজগৎ থেকে বেরতে পারেননি। রিসেপশনের আমন্ত্রপত্রে ঘুরে-ফিরে উল্লেখ রয়েছে তাঁর ১০ বছরের কেরিয়ারের যাবতীয় সিনেমার কথা। আমন্ত্রণপত্রে এভাবেই আবেদন জানিয়েছেন ‘মুখার্জি কমিশন’।
[আরও পড়ুন: ‘ওরে বাবা এটা বিপজ্জনক জায়গা’, ডাব্বুর প্রদর্শনীতে অমিতাভের ছবি দেখে ছিটকে গেলেন রেখা]
আর রিসেপশন মানেই তো সাজগোজ। তা সেলেবদম্পতি কী পরবেন? শোনা গেল, খ্যাতনামা ফ্যাশন ডিজাইনার শর্বরী দত্তের ‘শূন্য’র পোশাকে সাজবেন ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস’ মুখুজ্জ্যে। দু’জনেই রিসেপশনের থিমের সঙ্গে মানিয়ে বেছে নিয়েছেন লাল রঙের পোশাক। থিমের ছোঁয়ায় আদ্যোপান্ত বাঙালিয়ানা। অতঃপর, ট্র্যাডিশনাল ছোঁয়ায় ধুতি তো মাস্ট! তার সঙ্গে ঘন সুতোর কাজ করা আঁচকান। তবে মিথিলা কিন্তু রিসেপশনের জন্য পদ্মাপারের শাড়িই পছন্দ করেছেন। সৃজিতের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে শুধু একটা ওড়না নিয়েছেন শর্বরীর কাছ থেকে।