সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবনের প্রথম মৌলিক গান ‘তামাশা’ মুক্তি পেতেই নোবেলের জীবনে তামাশা হওয়ার আর বাকি রইল না কিছুই! কেন? ইউটিউবে তাঁর গানের পোস্টের নিচে মন্তব্যগুলোতে খানিক চোখ বুলোলেই যথেষ্ট!
বিগত কয়েক দিন ধরেই বিতর্কের শিরোনামে নোবেল। প্রথমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে নিয়ে কদর্য মন্তব্য করেছিলেন। যার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে ত্রিপুরায় এফআইআর দায়ের হল। এমনকী ভারতে এলেই তাঁকে গ্রেপ্তারির পরোয়ানা জারি হয়। এর মাঝেই প্রকাশ্যে আসে তৃতীয়বার বিয়ে করেছেন নোবেল। এবং তার চেয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ, সকাল-দিন-রাত তিনবেলা নিজের স্ত্রীকে মারধর করেন তিনি। সেই খবর চাউর হতেই নেটদুনিয়ায় নোবেলের বিরুদ্ধে শোরগোল পড়ে যায়। তবে এত সমালোচনা-নিন্দার মাঝেই রবিবার জীবনের প্রথম মৌলিক গান ‘তামাশা’ লঞ্চ করেন বাংলাদেশি গায়ক।
প্রথম থেকেই নোবেল ‘বেপরোয়া’। তাই বোধহয় সময়-কালের অপেক্ষা না করেই নিজের জীবনের প্রথম মৌলিক গান লঞ্চ করে ফেলেছেন। কিন্তু আদতে সেই নেগেটিভ পাবলিসিটিতে লাভ তো কিছুই হয়নি, বরং ফের নেটিজেনদের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাঁকে। ফলস্বরূপ, গান মুক্তি পাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই শ্রোতাদের নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবে গানটিও যে শ্রুতিমধুর, তা মোটেই নয়! প্রসঙ্গত, এই গানের মিউজিক ভিডিওতে কিন্তু নোবেলের স্ত্রী মেহেরুবা সালসাবিলকেও দেখা গিয়েছে। নোবেল নিজেও ছিলেন। নব্যবিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর ঘরকন্যার ঝলক ফুটে উঠেছে ‘তামাশা’র মিউডিক ভিডিওতে। তবে এতকিছু মন ভোলাতে পারেনি দর্শকদের।
[আরও পড়ুন: ‘করোনা পুজো কিছুই না, শিক্ষিত নেতা-মন্ত্রীদের গোমূত্র খেতে দেখেছি’, কুসংস্কারকে বিঁধলেন তসলিমা!]
প্রসঙ্গত বাংলার ‘সারেগামাপা’র মঞ্চ থেকে উঠে আসা গায়ক মইনুল হাসান নোবেল দুই বাংলার মানুষের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছিলেন। বিচারক থেকে দর্শক, সকলেরই সমর্থনের সঙ্গে ভালোবাসাও কুড়িয়েছেন একসময়ে। কিন্তু রিয়ালিটি শো শেষ হতেই যেন তাঁর দম্ভ যেন গগনচুম্বী হয়ে দাঁড়ায়। ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেছিলেন নোবেল। আর সেসবের উত্তরই বোধহয় তাঁকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন শ্রোতা-ভক্তরা। তাই বোধহয় ‘বেয়াদব’ বলে সম্বোধন করতেও ছাড়েননি তাঁরা।