ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে নয়, নিখিল জৈনের (Nikhil Jain) সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন তিনি। বুধবার বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। আর তাতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে টিনসেল টাউনে। আইনের চোখে তাহলে এই সম্পর্ক কী? তাতে কি আলাদা করে কোনও বিচ্ছেদের প্রয়োজন আছে? প্রশ্নের উত্তর দিলেন হাই কোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাস (Arindam Das)।
সংবাদ প্রতিদিনকে ফোনে আইনজীবী অরিন্দম দাস জানান, ভারতবর্ষে দুই ভিন্ন ধর্মের মানুষ স্পেশ্যাল ম্যারেজ অ্যাক্টে (Special Marriage Act) বিয়ে করলে তবে তা বৈধতা পাবে। এতে কোনও পক্ষের ধর্মান্তকরণের প্রয়োজন পড়ে না। এই নিয়ম মেনে বিয়ে করতে গেলে এক মাস আগে রেজিস্ট্রারকে নোটিস দিতে হয়। আবার পাত্র কিংবা পাত্রীর মধ্যে একজন যদি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করেন তাহলে সেই ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী তাঁদের বিয়ে বৈধতা পেতে পারে। যেমন হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টে হোম ও সপ্তপদী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাতে আবার রেজিস্ট্রেশনও গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম ম্যারেজ অ্যাক্টে তিনবার ‘কবুল হ্যায়’ বললে তবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। ভারতে লিভ-ইন সম্পর্কেও আইনগতভাবে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানান অরিন্দম দাস।
২০১৯ সালের ১৯ জুন তুরস্কে নিখিলের গলায় বরমালা দিয়েছিলেন নুসরত। আবার খ্রিস্টানদের মতো গাউন ও স্যুট পরেও ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছিলেন দু’জনে। তবে তাঁদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি বলে দাবি করেছিলেন নিখিল জৈন। এর মধ্যেই আবার আসন্ন সেপ্টেম্বরে নুসরতের মা হওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়েই নিখিল জানিয়েছিলেন, তিনি দেওয়ানি মামলা করেছেন। অরিন্দমবাবু জানান, নুসরত মুসলিম পরিবারের মেয়ে এবং নিখিল হিন্দু পরিবারের। যদি তাঁদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন না হয়ে থাকে তাহলে সে বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতি নেই। তাই ডিভোর্স বা বিবাহ বিচ্ছেদের কোনও প্রশ্ন নেই। তাহলে কেন এই দেওয়ানি মামলা? তা কোনও আর্থিক বা সম্পত্তিগত সেটলমেন্টের জন্যও হতে পারে, আবার লিভ-ইন সম্পর্কেও খোরপোশের দাবি জানানো যেতে পারে বলে জানান বিশিষ্ট আইনজীবী। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন নিখিলের সংস্থার বিজ্ঞাপনের প্রধান মুখ ছিলেন নুসরত। ‘ইউভ’ নামে একটি ক্লথিং লাইনও প্রকাশ করা হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.