সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “দয়া করে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করা বন্ধ করুন।” অজয় দেবগণের কাছে এমনটাই আরজি রেখেছেন নানাক্রম নামে ক্যানসার আক্রান্ত জনৈক ব্যক্তি। একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের পানমশলার বিজ্ঞাপনে অনেকবার এই অভিনেতাকে দেখা গিয়েছে অভিনয় করতে। তিনি যেন আর সেই বিজ্ঞাপনে মুখ না দেখান সেই আরজি রাখেন রাজস্থানের নানাক্রম।
৪০ বছর বয়সি নানাক্রম আদতে রাজস্থানের বাসিন্দা। তিনি অজয় দেবগণের অন্ধভক্ত ছিলেন। আর প্রিয় অভিনেতা অজয়ের সেই পানমশলার বিজ্ঞাপন দেখে নিজেও পানমশলা খাওয়া শুরু করেছিলেন। তবে, তামাকযুক্ত ওই পানমশলা খাওয়ার ফলে বর্তমানে ক্যানসার বাসা বেঁধেছে নানাক্রমের শরীরে। আর যার ফলে এখন গুরুতর অসুস্থ তিনি। তাই প্রিয় অভিনেতাকে অনুসরণ করে আর যেন কেউ ভুল না করে নিজেদের জীবনে, সেই আর্জি জানিয়েছেন সকলকে। সঙ্গে হাজারটি লিফলেট ছেপেছেন, যাতে নানাক্রম নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ক্যানসার ধরা পড়ার আগে কীভাবে নানাক্রম এবং তাঁর পরিবারের লোকেরা তামাক সেবন করতেন, এবং তার পরিণতি কী হয়েছে, সেই কথাও লেখা রয়েছে ওই লিফলেটে। রাজস্থানের জগৎপুরার সঙ্গনীর এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলে পা রাখলেই দেওয়ালে দেওয়ালে চোখে পড়বে সেই লিফলেট।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ অমিতাভ, জলসার বারান্দায় চিরাচরিত দর্শন থেকে বঞ্চিত ভক্তরা]
নানাক্রমের পরিবারের লোকেরাই জানিয়েছেন যে তিনি আগে অজয় দেবগণের খুব বড় ভক্ত ছিলেন। আর তাঁর বিজ্ঞাপন দেখেই তামাকযুক্ত ওই পানমশলা খাওয়া শুরু করেছিলেন। প্রিয় অভিনেতা যাতে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন আর না করেন, তাই সেই আরজি রেখেছেন এখন নিজের অসুখ ধরা পড়ার পর। প্রসঙ্গত, সেলেবদের অনুসরণ করে ব্যক্তিগত জীবনে অনেকেই প্রভাবিত হন। তাদের লার্জার দ্যান লাইফে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়ে নিজেরাই সেরকমভাবে বাঁচার চেষ্টা করেন। কেউ প্রিয় অভিনেত্রীকে অনুসরণ করে ক্রিম মাখেন বা সাবান ব্যবহার করেন। আবার কেউ বা প্রিয় অভিনেতাকে দেখে বডি স্প্রে ব্যবহার করেন, সেগুলোর গুণগত মান বিচার না করেই। আখেরে শরীরের ক্ষতি ছাড়া আর কিছু হয় না। মদ, সিগারেট, যে কোনও তামাকজাত দ্রব্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। তাই অন্ধভাবে অনুসরণ করার আগে একবার সব দ্রব্যেরই গুণগত মানটা যাচাই করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এমন পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
নানাক্রম আগে চা বিক্রেতা ছিলেন। কিন্তু অসুস্থ শরীর নিয়ে এখন আর পেরে ওঠেন না। এদিকে উপার্জন করার মতো লোকও নেই বাড়িতে। তাই বর্তমানে জয়পুরের সঙ্গনীর বাড়িতে বসেই দুধ বিক্রি করেন তিনি।