সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিগত ১৫ দিনে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে নিয়ে বেশ সরগরম হয়েছে নেটদুনিয়া। একের পর এক কেচ্ছা, কাদা ছোঁড়াছুড়ির অন্ত নেই। তারকাদের অন্দরমহলেও শান্তি নেই। একটা মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিনোদন জগৎকে। অতীতে এর আগে কখনও বলিউডের এমন অন্ধকার দিক নিয়ে আমজনতা প্রকাশ্যে খোলাখুলি আলোচনা করেছে বলে মনে পড়ে না! তবে অন্ধকার দিকের পাশাপাশি বলিউডের একটা দিক যে বেশ উজ্জ্বল, এই ক’দিনে সে কথা হয়তো ভুলেই গিয়েছিলেন অনেকে। যাঁরা বিপদের সময়ে মানুষের সাহায্যে শুধু অর্থপ্রদান করার প্রতিশ্রুতিই দেন না! বরং, বাস্তবেও মানুষের পাশে দাঁড়ান। ঠিক সেরকমই এবার বিহারের ‘সাইকেল গার্ল’ জ্যোতি কুমারির পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন বলিউডের খ্যাতনামা প্রযোজক তথা পরিচালক ফারহা খান (Farah Khan)।
জ্যোতি কুমারি পাসওয়ান (Jyoti Kumari Paswan), লকডাউনের সময় যে নামটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একপ্রকার সরগরম করে রেখেছিল। বিহার থেকে ব্রিটেন, সর্বত্রই আলোচিত হয়েছিল দেশের এই বিস্ময়কন্যার নাম। যাকে কিনা একডাকে এখন সবাই ‘সাইকেল গার্ল’ (Cycle Girl) বলেই চেনেন। তাঁর অসামান্য প্রতিভা দেখে কিছু দিন আগেই ফেডারেশন তাকে দিল্লির আইজিআই স্টেডিয়ামে ট্রায়ালের জন্য ডাকে। কেন? গুরগাঁও থেকে ১২০০ কিমি সাইকেল চালিয়ে অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বিহারের গ্রামে ফিরেছিল ১৫ বছর বয়সের এই মেয়ে। পেটে খিদে, ক্লান্তি কোনও কিছুই জ্যোতির দৃঢ় মানসিকতায় ফাটল ধরাতে পারেনি! বিহারের বিস্ময়কন্যা জ্যোতি কুমারির লড়াকু কাহিনিই উদ্বুদ্ধ করেছে বলিউড প্রযোজক-পরিচালক ফারহা খানকে (Farah Khan)। যাকে নিয়ে বলিউডে তৈরি হচ্ছে সিনেমাও।
[আরও পড়ুন: সুশান্তের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগে একতার নামে মামলা! তীব্র নিন্দা করে মুখ খুললেন মিকা সিং]
সোশ্যাল মিডিয়ায় নামডাক হওয়ার পর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু বাস্তবে আদৌ কি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়? অভাব-দারিদ্র্য এখনও তার সঙ্গী। সেই খবর পেতেই ফারহা খান নিজে জ্যোতি কুমারির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। এবং ফারহা এবারের সারা বছরের স্কুল ফি’র টাকা পাঠিয়ে দেন জ্যোতির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এখানেই শেষ নয়! ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, জ্যোতির পড়াশুনায় যাতে কোনও বাধা না আসে, তার জন্যে শুধু এই বছরই নয়, প্রতিবছরই জ্যোতির পড়াশুনার দায়িত্ব নেবেন ফারহা (Farah Khan)।
কীভাবে জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ হল ফারহার? ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, জ্যোতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে ফারহাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। অনেক খোঁজাখুজির পর এক এনজিওর সাহায্যে তাঁর কাছে পৌঁছাতে পারেন শেষমেশ।