সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে বাড়িতে শোচনীয় পরিস্থিতি ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেত্রী নাফিসা আলির। প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র তিনি পাচ্ছেন না। এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পরই অভিনেত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল প্রশাসন। নাফিসার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হল প্রয়োজনীয় জিনিস।
বছর দুই আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হন অভিনেত্রী নাফিসা আলি। তখন অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, আচমকাই একদিন পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় তাঁর৷ দিল্লিরই এক চিকিৎসকের কাছে যান তিনি৷ পাঁচদিন ওষুধ খেয়ে লাভ কিছুই হয়নি৷ নানা পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়৷ তাতেই জানা যায় ক্যানসার রোগ বাসা বেঁধেছে অভিনেত্রীর শরীরে৷ তারপর থেকে ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। কিন্তু এখনও কর্কট রোগ তাঁর শরীর ছেড়ে যায়নি। রোজ নিয়ম করে খেতে হচ্ছে ওষুধ। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তাঁকে বেকায়দায় ফেলেছে বলে জানান বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।
[ আরও পড়ুন: ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ’, দিল্লির নিজামউদ্দিন কাণ্ডে সরব সাংসদ নুসরত জাহান ]
বর্তমানে উত্তর গোয়ায় মরজিম গ্রামে রয়েছেন নাফিসা। এখানে থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন তিনি। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রুখতে আচমকা লকডাউন বিপদে ফেলেছে তাঁকে। বাড়িতে পর্যাপ্ত খাবার নেই। ওষুধের জোগানও নেই। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন নাফিসা। সম্প্রতি একথা জানিয়েওছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “লকডাউনের পর গোয়ার পরিস্তিতি খুব খারাপ ছিল। এখন তো তাও দু’চারটে খোলা আছে। সব বন্ধ ছিল। সবজি, রেশন, এমনকী জলও পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা কিচ্ছু কিনতে পারিনি। কারণ পুলিশ আমাদের বাধা দিচ্ছিল। যদি কেউ কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করত, মার খেত। এখন আমার ওষুধ ফুরিয়ে এসেছে। আমার এমন কিছু ওষুধ লাগবে যেগুলো গোয়ায় পাওয়া যায় না। সব দিল্লিতে রয়েছে। এখন সব বন্ধ। ওগুলো আনাও যাচ্ছে না। যেগুলো আছে, ওগুলো শেষ হয়ে গেলে আমাকে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। কী করব?”
অভিনেত্রীর এই খবর পাওয়ার পরই পদক্ষেপ নেয় প্রশাসন। লকডাউনের পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অভিনেত্রীর প্রয়োজনায় জিনিসপত্র তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জিনিস পৌঁছে দেওয়ার সময় তাঁরা যেন অভিনেত্রীর থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.