সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে এই প্রথম। একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চিনে আজ থেকে খুলে গেল সিনেমা হল। করোনা সংক্রমণের জেরে এ বছরের প্রায় গোড়া থেকে বন্ধ ছিল প্রেক্ষাগৃহ। ৬ মাস পর সোমবার থেকে হল খুলে যাওয়ায় স্বস্তিতে হল মালিকরা। বড়সড় লোকসান থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পেলেন প্রযোজকরাও।
জল্পনা ছিলই, এবার চিনের সিনেমা হলগুলো খুলে যাবে। সংক্রমণ কমতে থাকায় সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই এই দাবি তুলেছিলেন হল মালিক, প্রযোজনা সংস্থাগুলি। ৬ মাস টানা সিনেমা হল বন্ধ থাকায় বিনোদুনিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্র মোটা অংকের আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছিল। এবার একেবারে খাদের কিনারে এসে ঠেকছিল। তা থেকে বাঁচতে হলে প্রেক্ষাগৃহের দরজা না খুলে উপায় ছিল না। তাই গত সপ্তাহে চিনের ফিল্ম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে খুব কম সংক্রমিত এলাকায় (Low Risk Zone) খুলে যাক সিনেমা হল। তবে আগের মতো হলভরতি করে নয়, ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে স্ক্রিন চালু হোক।
[আরও পড়ুন: প্যারিসের রাস্তায় সুশান্ত-সঞ্জনার রোম্যান্স, ক্যামেরাবন্দি করছেন স্বস্তিকা, দেখুন সেই গান]
নতুন সপ্তাহ থেকে আর বাড়িতে বসে নয়, হলে গিয়েই সিনেমা দেখতে পারবেন চিনের বাসিন্দারা। তবে মানতে হবে একাধিক নিয়ম। হলের কর্মীদের প্রত্যেককে কাজের সময় মাস্ক পরে থাকা বাধ্যতামূলক। মাস্ক পরতে হবে দর্শকদেরও। প্রত্যেকটি হলের সামনে রয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। প্রবেশের সময় তাতে দর্শকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হবে। প্রেক্ষাগৃহের ভিতরে অন্তত ১ মিটার দূরত্ব রেখে বসতে হবে দর্শকদের, কোনও খাবার বা পানীয় সরবরাহ করা হবে না। টিকিট আগে থেকে অনলাইনে কেটে রাখতে হবে। এত কিছু মেনে চললে, তবেই হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আনন্দ ফিরে পাবেন চিনবাসী।
[আরও পড়ুন: অনেক হয়েছে বিপ্লব! এবার হংকংবাসীদের ‘মগজধোলাই’ করবে জিনপিং সরকার]
চিনেই প্রথম থাবা বসিয়েছিল মারণ করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। প্রথমদিকে চিন তা গোপন করলেও এবছরের শুরুতেই সামগ্রিক ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায় বিশ্বের কাছে। এরপর জানুয়ারি থেকেই সে দেশে অন্য সব কিছুর মতো সিনেমা হলগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিশ্বের বিনোদন জগতে চিন হল দ্বিতীয় দেশ, যাদের এই সংক্রান্ত ব্যবসায়িক লেনদেন সবচেয়ে বেশি হয়। ২০১৯এ এই অংকটা ছিল ৯০০ কোটি ডলারেরও বেশি। কিন্তু দীর্ঘ ৬ মাসের লকডাউনে তা সেই ব্যবসা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেখানকার সবচেয়ে বড় প্রযোজনা সংস্থা ওয়ান্ডা ফিল্মের তরফে কার্যত কাকুতিমিনতি করা হচ্ছিল, প্রেক্ষাগৃহ খুলে দেওয়ার অনুমতির জন্য। তা মেনে শেষমেশ দরজা খুলল সিনেমা হলের।