Advertisement
Advertisement
Kangana Ranaut

বিলকিস বানোর জীবনকে পর্দায় আনতে তুমুল বাধার মুখে কঙ্গনা!

কারা আটকাচ্ছে কঙ্গনাকে?

Kangana Ranaut says she has ‘script ready' for film on Bilkis Bano case| Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:January 10, 2024 4:02 pm
  • Updated:January 10, 2024 4:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইচ্ছে থাকলেও নেই উপায়। কিছুটা হতাশ ও কিছুটা রেগে কঙ্গনা রানাউত। আর হবে নাই বা কেন, বহুদিন ধরেই বিলকিস বানোর জীবনের গল্পকে চিত্রনাট্যের রূপ দিয়েছেন কঙ্গনা। কিন্তু কিছুতেই সিনেমার রূপ দিতে পারছেন না। অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। কঙ্গনার কাছে ছবির বিষয়বস্তুর কথা জানতে পেরে পিছপা হয়েছে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন ও জিও সিনেমার মতো ওটিটি সংস্থা। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় সেকথাই জানালেন কঙ্গনা।

কাণ্ডটা একটু বিশদে বলা যাক। সম্প্রতি কঙ্গনার এক অনুরাগী, বিলকিস বানোকে নিয়ে ছবি তৈরি করার অনুরোধ করেন কঙ্গনার আছে। তখনই কঙ্গনা জানান, ”আমি তাঁর গল্প নিয়ে ছবি করতে চাই। আমি গত তিন বছর ধরে বিষয়টা নিয়ে কাজ গবেষণা করেছি, আমার কাছে চিত্রনাট্যও তৈরি রয়েছে। কিন্তু কোনও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ছবিটা করতে চাইছে না, কারণ তারা কেউই রাজনীতি নিয়ে ছবি করতে চায় না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আগের রাতেও পরিবারের সঙ্গে গল্প-আড্ডা চলেছে, হঠাৎ…’, রাশিদ প্রয়াণে শোকাহত রুদ্রনীল]

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা হিংসার সময়ে গণধর্ষণ করা হয় ২১ বছর বয়সি বিলকিস বানোকে (Bilkis Bano Gang Rape)। দীর্ঘ বিচারের পরে এগারোজন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। চোদ্দো বছর জেলে কাটানোর পরে সাজা মকুব করার আবেদন জানায় রাধেশ্যাম শাহ নামে এক দোষী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে নির্দেশ দেয়, শাস্তির সাজা পুনর্বিবেচনা করতে।

Advertisement

প্রথা ভেঙেই এগারোজন দোষীকে মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। স্বাধীনতা দিবসের দিনই জেল থেকে বেরিয়েছে তারা। গোধরা সাব জেলের সামনেই মালা এবং মিষ্টি নিয়ে তাদের মুক্তি উদযাপন করা হয়েছিল।

২০০২ সালে সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। সেই সময়েই ২১ বছর বয়সি তরুণী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময়ে গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। দাঙ্গার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর তিন সন্তানকেও খুন করা হয়। ২০০৮ সালে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাদের মধ্যে ছিলেন দু’জন চিকিৎসক, যারা প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল। একই অপরাধে কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মেয়াদ ফুরনোর আগেই তাদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

[আরও পড়ুন: ‘এ তো চলে যাওয়ার বয়স নয়…’, প্রিয় রাশিদের প্রয়াণে ভারাক্রান্ত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ