সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাভেদ আখতারের পর এবার দিল্লি নিয়ে বিস্ফোরক গুলজার। তবে পথে নেমে দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে তিনি সোচ্চার হননি। তাঁর প্রতিবাদ কলমে। উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে হিংসা ছড়িয়ে পড়ছে, তার প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায় কবিতা লিখলেন তিনি। প্রশ্ন তুললেন, হিংসার নামে যে ন’বছরের শিশুটিকে মেরে ফেলা হল, তার কী দোষ ছিল?
ওই কবিতায় শুধু এই একটা ঘটনার কথাই তুলে ধরেননি গুলজার। তার লেখনি অনেক প্রশ্নই করেছে। তিনি লিখেছেন, কেউ তার ধর্ম ইচ্ছেমতো বেছে নেয় না। ধর্ম সবসময় উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া। কেউ কারওর বাবা-মা নির্বাচন করতে পারে না। ঠিকই একইভাবে কেউ তার দেশ বেছে নিতে পারে না। রাষ্ট্রও তার কথা মতো কাজ করে না। দিল্লিতে যে ন’বছরের শিশুটি হিংসার বলি হল, তার কী দোষ ছিল? কেন অদৃষ্ট তাকে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিল?
[ আরও পড়ুন: ‘গুলদস্তা’র লুক প্রকাশ্যে, গৃহবধূর সাজে নজর কাড়লেন স্বস্তিকা-অর্পিতা ]
গুলজারের আগে দিল্লি হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অনেকে। সম্প্রতি জাভেদ আখতার বলেন, “কত লোক মারা গিয়েছে, কত জন আহত হয়েছে, কত বাড়ি জ্বলেছে, কত দোকানে লুট চালানো হয়েছে, কত লোক ভীত-সন্ত্রস্ত, কিন্তু পুলিশ শুধু একজনের বাড়িতে হানা দিয়েই সিল করেছে এবং গৃহকর্তাকে খুঁজছে। ঘটনাচক্রে ওঁর নামও তাহির। দিল্লি পুলিশের এমন দক্ষতাকে সাধুবাদ জানাতে হয়।” জাভেদের এই টুইটের পরই নেটিজেনদের একাংশ তাঁকে কদর্য আক্রমণ করতে শুরু করে। ‘একজন দোষীর হয়ে কেন কথা বলছেন?’ প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সমালোচনা তুঙ্গে উঠতেই আরেকটি টুইট করে তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট করে দেন জাভেদ। তাঁর কথায়, “আমার মন্তব্যকে বিকৃত করা হচ্ছে। আমি বলছি না ‘কেন তাহির’, আমার বক্তব্য ‘কেন শুধু তাহিরকেই’ বলির পাঁঠা করা হল? পুলিশের উপস্থিতিতে যারা হিংসা ছড়ানোর হুমকি দিল, তাদের বিরুদ্ধে কেন এফআইআর দায়ের হল না? হাই কোর্টও এক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে!”
প্রসঙ্গত, তিনদিন ধরে হিংসার আগুনে জ্বলেছে রাজধানী। উত্তর-পূর্ব দিল্লির একাধিক জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসায় এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৪৩ জন। হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভরতি প্রায় ২০০ জনেরও বেশি। ক্রমশ লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। কংগ্রেস থেকে শুরু করে আম আদমি পার্টি-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই হিংসার ঘটনায় দিল্লি পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ব্যর্থতার অভিযোগে সরব হয়েছে। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন গুলজার।