সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বরের ১৩ তারিখে মুক্তি পাওয়ার কথা ‘মর্দানি ২’ ছবির। তবে ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত এই অ্যাকশন থ্রিলার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। তবে এবার সেন্সর বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছে কোটা পরিষদ। মূল অভিযোগ, কোটার ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।
আসলে কোটা শহরের প্রেক্ষাপটে ‘মর্দানি ২’ ছবির গল্প এগিয়েছে। ট্রেলারজুড়ে একাধিকবার ব্যবহার করা হয়েছে রাজস্থানের কোটা শহরের নাম। তাও আবার ধর্ষণের মতো বিষয় তুলে ধরতে। আর এতেই বেজায় চটেছেন কোটাবাসী। সেন্সর বোর্ডের দ্বারস্থ হওয়ার আগে অবশ্য কোটার সাংসদ তথা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন কোটা পরিষদ। এবার সেই পরিষদের পক্ষ থেকেই ‘মর্দানি ২’ পরিচালক গোপী পুথরন, প্রযোজক আদিত্য চোপড়ার কাছে আইনি নোটিস গিয়েছে। এছাড়াও সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রসূন যোশি এবং তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে যে ছবি থেকে যেন কোটা শহরের নাম তুলে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ওই নোটিসে এমনও বলা হয়েছে যে কোটা শহরের যে বাস্তব দৃশ্যগুলি রয়েছে, সেগুলিকেও তুলে নিতে হবে। দাবি না মানা হলে, আদালতে ছবি মুক্তি আটকাতে মামলা দায়ের হবে।
[আরও পড়ুন: ‘কলেজে ৫৯৯ জন ছাত্র, আমি একা মেয়ে’, কেবিসি’তে স্মৃতিচারণা সুধা মূর্তির ]
আইনজীবির কথায়, ‘মর্দানি ২’ থেকে কোটা শহরের নাম বদলে অন্য কিছু রাখতে হবে। নাহলে ছবি মুক্তি আটকাতে তৎপর কোটা পরিষদ। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘মর্দানি ২’ ছবির ট্রেলার। সেখানে দেখানো হয়েছে, কোটা শহরে ঘটে যাওয়া একটি নৃশংস ধর্ষণের ঘটনার তদন্ত করতে শহরে এসে উপস্থিত হয়েছেন দুঁদে ইনস্পেক্টর, শিবানী শিবাজি রায় ওরফে রানি মুখোপাধ্যায়। কোটায় পড়তে আসা এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়। খুনিও সেই শহরেরই বাসিন্দা। আর এতেই আপত্তি শহরবাসীর। তাঁদের দাবি, ধর্ষণের মতো নিকৃষ্ট একটি ঘটনার সঙ্গে কোটা শহরের নাম জড়ানো ঠিক নয়।